সিলেট সীমান্তে ১৪ বাংলাদেশীকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৩:১৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : বিএসএফ কর্তৃক সিলেটের গোয়াইনঘাট তামাবিল সীমান্ত এলাকা থেকে ১৪ বাংলাদেশী ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠছে। তামাবিলের সোনাটিলা সীমান্ত এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশ করার সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাদের ধরে নিয়ে গেছে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
তবে কী কারণে তারা ভারত অনুপ্রবেশ করেছেন বা বিএসএফ কীভাবে তাদের ধরে নিয়ে গেছে সে বিষয়টি এখনো সুনির্দিষ্টভাবে নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত তাদের নাম-পরিচয় ও ঠিকানা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বিজিবি ও পুলিশ। আটককৃতরা সিলেটের গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাতে সীমান্ত থেকে ১৪ বাংলাদেশীকে আটক করে বিএসএফ। পরে সে দেশের সংশ্লিষ্ট থানাপুলিশের কাছে হস্তান্তর করে তারা। তবে এ বিষয়ে আটকদের পরিবারের পক্ষ থেকে গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর থানাপুলিশের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়নি। এব্যাপারে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর কাছেও কোন তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাত ৮টার দিকে সিলেটের গোয়াইনঘাট তামাবিল সোনাটিলা সীমান্ত এলাকায় ওপারে অবৈধভাবে অবস্থানকালে ১৪ বাংলাদেশিকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) আটক করে। পরদিন (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ভারতীয় পুলিশের মাধ্যমে তাদের কারাগারে প্রেরণ করে।
গোয়াইনঘাট থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টায় দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, স্থানীয় ১৪ জন যুবককে বিএসএফ কর্তৃক আটকের খবর শুনেছি। এর মধ্যে ১২ জন জৈন্তাপুর ও ২ জন গোয়াইনঘাট উপজেলার। তাদের সবার বয়স ১৮ থেকে ২০ বছর। তারা ভারতে প্রবেশ করে দেশে ফেরার পথে আটক হয়েছে সোর্স মারফত শুনেছি। তবে এ বিষয়ে কেউ আমাদের কাছে কোন অভিযোগ করেনি। তাই আটককৃতদের নাম-পরিচয়ও পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে জৈন্তাপুর মডেল থানার ওসি আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, আমিও বিভিন্ন মাধ্যম থেকে শুনেছি গোয়াইনঘাট সীমান্তে ১৪ জন আটক হয়েছে। এরমধ্যে ১২ জন নাকি জৈন্তাপুরের। তবে এ বিষয়ে এখনো কেউ কিছু আমাদের জানায়নি।
এ ব্যাপারে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৪৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, আমরা বিভিন্ন সোর্স মারফত শুনেছি। এ বিষয়ে বিএসএফ বা আটকদের পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। আমরাও বিএসএফ-র কাছে কিছু জানতে চাইনি। কেউ লিখিতভাবে নিখোঁজের অভিযোগ করলে আমরা নিয়মানুযায়ী পদক্ষেপ নেব।