বিএসএফের গুলিতে নিহত গোপালের বাড়িতে নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি দল
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭:৪৭:৫৫ অপরাহ্ন
বড়লেখা প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত চা শ্রমিক গোপাল বাক্তির বাড়িতে গিয়ে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি দল।
মঙ্গলবার দুপুরে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা নিহত গোপাল বাক্তির পরিবারের সাথে দেখা করে তাদের খোঁজ খবর নেন এবং শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। পাশাপাশি তারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সংগঠক প্রীতম দাশ। এসময় জাতীয় নাগরিক কমিটির মৌলভীবাজার সদর উপজেলা প্রতিনিধি ফাহাদ আলম, জাতীয় নাগরিক কমিটির মৌলভীবাজার সদর উপজেলা সদস্য রুমন কবির, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ শিক্ষার্থী প্রতিনিধি (স্বাস্থ্য বিষয়ক সমন্বয়ক সেল, সিলেট) আলী আব্বাস শাহীন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ শিক্ষার্থী প্রতিনিধি তামিম আহমদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সংগঠক প্রীতম দাশ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এখানে এসে নিহত গোপাল বাক্তির পরিবার ও পাহাড়ে তার সঙ্গে বাঁশ কাটতে যাওয়া ব্যক্তির সাথে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন, গোপাল বাক্তি মারা যাওয়ার আগে তার সাথে থাকা লোকজনকে বলেছেন যে, বিএসএফ আসছে, তোরা পালা। এসময় ভয়ে তার সাথে থাকা অন্যরা পালিয়ে আসেন। তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের পতিত স্বৈরাচারকে জায়গা দিয়েছে। অপরদিকে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের বুকে গুলি চালাচ্ছে। এভাবে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হতে পারে না।
বড়লেখা থানার ওসি মো. আবদুল কাইয়ূম বলেন, লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়। এসময় নিহতের শরীরে ৯টি গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়। পরে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়া গেলে বিষয়টি সম্পর্কে আরও নিশ্চিত হওয়া যাবে। বিষয়টি নিয়ে এখন তদন্ত চলছে।
বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার বলেন, বড়লেখা সীমান্তে যে দুর্ঘটনা ঘটেছে আমরা তার জন্য নিহতের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আমরা বিজিবি ও পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে তদন্তের মাধ্যমে সত্য ঘটনা উদঘাটনে চেষ্টা করছি। এরমধ্যে বিজিবির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ইতিমধ্যে তারা (বিজিবি) পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে বিএসএফ কর্তৃপক্ষকে অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন। প্রতিবাদ লিপিদিয়েছেন। বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়ার পর দুইপক্ষ (বিজিবি-বিএসএফ) পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।