ওসমানীনগরে তিন বাড়িতে ডাকাতি
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭:৪৯:৪২ অপরাহ্ন
৩৩ লক্ষ টাকার মালামাল লুট
ওসমানীনগর প্রতিনিধি: ওসমানীনগরে একইরাতে তিন প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতরা হানা দিয়ে প্রায় ২৩ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ ৩৩ লক্ষ টাকার মালামাল লুটে নিয়েছে। এসময় ডাকাতদের হামলায় দুই পরিবারের ৩জন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার উছমানপুর ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের আব্দুর রব এর ছেলে মামুন আহমদ ও লতিবপুর গ্রামের ছানাওর আলীর ছেলে মিজানুর রহমান ও পাশর্^বর্তি আশিক আলীর বাড়িতে।
আহতরা হলেন, উপজেলার লতিবপুর গ্রামের ছানাওর আলীর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৬০), ছেলে হোসাইন আহমদ (২২) ও মাধবপুর গ্রামের সিরাজ মিয়া (৪০)। ঘটনার পর সকালে ওসমানীনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। আহতদের বালাগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, রাত ৩টার দিকে লতিবপুর গ্রামের প্রবাসী মিজানুর রহমানের বাড়িতে কেচি গেইট ও দরজা ভেঙ্গে ১২/১৩জনের ডাকাতদল ঘরে ঢুকে কোন কিছু বুঝার আগেই মিজানের ছোট ভাই হোসাইন আহমদ এর মাথায় রড দিয়ে আঘাত করে আহত করে একটি কক্ষে তাকে বেঁধে রাখে। এরপর অপর কক্ষে হোসাইন আহমদ এর মা আনোয়ারা বেগমকে রড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে ৬ ভরি স্বর্ণালংকার লুটে নেয়। একই সময়ে পাশর্^বর্তি মাধবপুর গ্রামের আব্দুর রব এর ছেলে মামুন আহমদ এর বাড়িতে ৭/৮ জনের একদল ডাকাত ঘরের কেচি গেইট ও দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে গৃহকর্মী সিরাজ মিয়াকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। তখন মামুন আহমদ এর ঘরে থাকা ১৬ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও পাউন্ডসহ প্রায় ১ লক্ষ টাকা লুটে নেয়। একই সময়ে লতিবপুর গ্রামের মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী আশিক মিয়ার বাড়ির কেচি গেইট ও দরজা ভেঙ্গে ১ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ১১শ টাকা সহ কিছু মালামাল লুটে নেয় ডাকাতেরা। এসময় আশিক মিয়ার পরিবারের লোকজন বাড়িতে ছিলেন না।
মাধবপুর গ্রামের মামুন আহমদ বলেন, আমরা ঘুমে ছিলাম। রাত ৩টার দিকে ৭/৮জন ডাকাত কেচি গেইট ও দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে ১৬ ভরি স্বর্ণালংকার, পাউন্ডসহ নগদ ১লক্ষ টাকা লুটে নেয়। এসময় তারা সিলেটি ও শুদ্ধ ভাষায় কথা বলে। প্রায় ৪৫মিনিট তারা আমার ঘরের সকল আলমিরা ভেঙ্গে তছনছ করে। এরপর আমাদের ঘরে বেঁধে রেখে যায়। ডাকাতরা চলে যাওয়ার সময় দু’টি সিএনজি চালিত অটোরিকশার শব্দ শুনতে পেয়েছি। ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান বলেন, ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।