জুলাই বিপ্লব ঘোষণাপত্রের সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই: প্রেস সচিব
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯:১৬:৪৯ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশের সঙ্গে অন্তর্র্বতী সরকারের কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রকে আমরা বেসরকারি উদ্যোগ হিসেবে দেখছি। রোববার প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। প্রেস সচিব বলেন, এটা একটা প্রাইভেট ইনিশিয়েটিভ। আমরা প্রাইভেট ইনিশিয়েটিভ হিসেবে দেখছি। এটাতে সরকারের কোনও সম্পৃক্ততা নেই।
জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রসঙ্গে ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ঘোষণা না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কাছে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। ততক্ষণ পর্যন্ত আপনাদেরও স্পষ্ট কিছু বলা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
সচিবালয় ইস্যুতে আজাদ মজুমদার বলেন, এই মুহূর্তে সচিবালয় একটা ক্রাইম সিন। সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আগুনের ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে। তদন্ত চালানোর জন্য আমরা সবার কাছে সহযোগিতা চেয়েছি। আমরা মনে করি সাংবাদিকরা আমাদের সহযোগিতা করবেন। সহযোগিতার অংশ হিসেবে একটা সাময়িক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ব্যাখ্যা দিয়ে কিন্তু জানিয়েছি, এই সিদ্ধান্ত সাময়িক। একেবারেই তদন্তের প্রয়োজনে। ক্রাইমের যে লক্ষণগুলো সন্দেহ করা হচ্ছে সেগুলোকে প্রটেক্ট করার জন্য, বেশি মানুষ প্রবেশ করলে আলামত নষ্ট হতে পারে, এজন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশের স্বার্থে এই তদন্ত সুষ্ঠু হওয়া জরুরি। এর সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িত।
ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর, সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহমেদ, সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, ৩১ ডিসেম্বর সামনে রেখে শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে একের পর এক রহস্যজনক স্লোগান পোস্ট দিতে থাকেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যরা। ফলে ওইদিন কী হতে যাচ্ছে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়।
পরে রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করার কথা জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র ৫ আগস্ট না হওয়ার কারণে বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে ফ্যাসিস্টরা। এটি গণ-অভ্যুত্থানের লেজিটিমেসিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। গণ-অভ্যুত্থানকে ঘিরে মানুষের যে আকাক্সক্ষা সৃষ্টি হয়েছে এবং ১৯৭২-এর সংবিধান যে মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে, তার একটি দালিলিক প্রমাণ হিসেবে ৩১ ডিসেম্বর জাতির সামনে মুজিববাদী ’৭২-এর সংবিধানের কবর রচিত হবে। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে মানুষের আকাঙ্ক্ষা ঘোষণায় ৩১ ডিসেম্বর শহীদ মিনারে জড়ো হবে।
জুলাই অভ্যুত্থানকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিতে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ উপস্থাপনের জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৫৮ জন সমম্বয়ক শপথ গ্রহণ করবেন। এই অনুষ্ঠানে ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানোর কথা রয়েছে।