ডলারের বাজারে অস্থিরতা, বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাখ্যা
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯:২২:২৯ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: রমজান মাসকে কেন্দ্র করে বাড়ছে পণ্য আমদানি। আবার আগের বকেয়া এলসি বিল পরিশোধ বেড়েছে। এতে ডলারের যে চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে তার তুলনায় যোগান কম। এতে বছরেরে শেষ দিকে এসে ডলার বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়। এর প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে খোলাবাজারেও। দাম উঠে যায় ১২৮ টাকায়। যদিও তা আবার কমেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মৌখিক নির্দেশনায় ১২০ টাকার স্থলে এখন ১২৩ টাকায় লেনদেন হচ্ছে।
তবে ডলারের বাজারে অস্থিরতার কারণ কী এবং এ নিয়ে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে অস্থিরতার পেছনের কারণ ও প্রতিকার তুলে ধরেছে। ব্যাখায় বলা হয়, ‘ডিসেম্বর মাস বৎসর সমাপনীর মাস। এ কারণে নানাবিধ ঋণ পরিশোধের ভ্যালু ডেট এই মাসে পড়ে বিধায় বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে ডলারের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। আইএমএফ এর টার্গেট পূর্ণ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক সাম্প্রতিক সময়ে ডলার বিক্রি বন্ধ রেখেছে যা আন্তঃব্যাংক বাজারে ডলারের যোগান বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখেনি। বাংলাদেশের রেটিং অবনমনের কারণে ফরেন ব্যাংক এর সাথে বাংলাদেশের ব্যাংকসমূহের করেসপন্ডেন্ট রিলেশনশিপ বাধাগ্রস্ত হয়েছে, ফলে ইউপাস এলসি খোলা বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে, পেমেন্টের ম্যাচুরিটি ডেফার্ড করা সম্ভবপর হয়নি। অফশোর ব্যাংকিং ঋণের আন্তঃপ্রবাহও বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বৈদেশিক দেনা পরিশোধ সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার বাজারে চাপ বৃদ্ধি করেছে। রেমিট্যান্স আহরণে অ্যাগ্রিগেটরদের একচেটিয়া ও মধ্যস্বত্বভোগী ভূমিকা বাজারে বিনিময় হারকে অস্থিতিশীল করেছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের ইনফ্লো-আউটফ্লো মিসম্যাচ এর কারণেও ডলার বাজারে অস্থিতিশীলতা পরিলক্ষিত হয়েছে।