পদ্মা সেতু মামলা অধিকতর তদন্তের সিদ্ধান্ত
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮:৪৭:১০ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: প্রায় ১০ বছর আগে নিষ্পত্তি হওয়া বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু দুর্নীতি ষড়যন্ত্র মামলা পুনরায় তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। একে অপরকে আর্থিক লাভবান করার অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও বিধি-বিধান ভঙ্গ করে ঘুষ লেনদেনের ষড়যন্ত্রমূলক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্মাণকাজে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নির্মাণ তদারকি পরামর্শক নিয়োগসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে এই তদন্ত করা হবে। মঙ্গলবার বিকেলে দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
দুদকের মহাপরিচালক জানান, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সাবেক সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, সাবেক সচিব, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (নদী শাসন) কাজী মো. ফেরদাউস, সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রিয়াজ আহমেদ জাবের, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড প্লানিং কনসালটেন্ট লিমিটেড (ইপিসি), ঢাকার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোস্তফা ও এসএনসি লাভালিন ইন্টারন্যাশনালের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ ইসমাইল, এসএনসি লাভালিন ইন্টারন্যাশনালের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রমেশ শাহ ও কেভিন ওয়ালে এই মামলায় অভিযুক্ত। তারা একে অপরকে আর্থিক লাভবান করার অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও বিধি-বিধান ভঙ্গ করে ঘুষ লেনদেনের ষড়যন্ত্রমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। এর মাধ্যমে তা পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্মাণকাজে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নির্মাণ তদারকি পরামর্শক নিয়োগসংক্রান্ত দরপত্রের অন্যতম দরদাতা SNC-Lavalin Internatonal Inc কে কার্যাদেশ পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থার অভিপ্রায়ে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করেছেন। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে দ-বিধির ১৬১ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারার অপরাধ সংঘটনের ষড়যন্ত্রের দায়ে দ-বিধির ১২০ (বি) ধারায় বনানী থানায় মামলাটি করা হয়।
২০১২ সালে ১৭ ডিসেম্বর মামলাটি দায়ের করে দুদক। পরবর্তী সময়ে তদন্ত শেষে মামলাটি ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সালে আদালতে এফআরটি দাখিল করা হয়। আলোচ্য মামলা পুনঃপর্যালোচনা করে কমিশন মামলাটি অধিকতর তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান মহাপরিচালক।