বছরের শুরুতেই বড় বিপদের আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ৮:৪৯:৫৮ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: একটি বিশাল আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত এই গ্রহের সমস্ত জীবনকে ব্যাহত করতে পারে। পৃথিবীর জনজীবন, প্রাণীকুল ও প্রকৃতির উপরে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন জেনেভা ইউনিভার্সিটির জলবায়ু বিষয়ক অধ্যাপক মার্কাস স্টফেল। ১৮১৫ সালে ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট তামবোরা আগ্নেয়গিরিতে ভয়ংকর এক অগ্ন্যুৎপাত ঘটেছিল। তার প্রভাব এতই বেশি ছিল যে, তাতে ওলট-পালট হয়েছিল সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের জলবায়ু। দাবি, এবারের অগ্ন্যুৎপাত ছাপিয়ে যেতে পারে সেই ভয়াবহতাকেও। সিএনএনকে স্টফেল জানিয়েছেন, ২০০ বছরেরও আগে অগ্ন্যুৎপাতের তীব্রতার কারণে পৃথিবী গ্রীষ্মবিহীন একটি বছরের সাক্ষী হয়েছিলো। অগ্ন্যুৎপাতটি বায়ুম-লে ২৪ ঘন মাইল গ্যাস, ধূলিকণা এবং শিলা নির্গত করে, যার ফলে বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা হ্রাস পায়। দূষণ ভয়ংকর রকম বেড়ে গিয়েছিল। সূর্যের আলো ছুঁতে পারেনি ভূমি। উত্তর গোলার্ধের তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি-সেলসিয়াস কমে যায়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এবারে অগ্ন্যুৎপাতের ভয়াবহতা এতই বেশি হতে পারে যে, তার জেরে হারিয়ে যেতে পারে গোটা গ্রীষ্মকালটাই! সম্প্রতি হাওয়াইয়ে কিলাউয়া আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত ঘটে।
বিশ্বের উল্লেখযোগ্য সক্রিয় আগ্নেয়গিরি এটি। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, প্রায় ৮০ মিটার বা ২৬০ ফুট পর্যন্ত উচ্চতায় ছড়িয়েছিল লাভা! ক্রমবর্ধমান উষ্ণতার কারণে হিমবাহের বরফের স্তর গলে যাওয়ায় ম্যাগমা চেম্বারগুলির উপর চাপ কমে যেতে পারে। ফলে ঘন ঘন অগ্ন্যুৎপাত ঘটতে পারে। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন যে এমনকি অত্যাধুনিক সেন্সর এবং ভূমিকম্প মাপক যন্ত্র থাকা সত্ত্বেও, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত কখন হবে তার পূর্বাভাস দেয়া অসম্ভব। উপরন্তু, তীব্র বৃষ্টিপাত, জলবায়ু পরিবর্তনের আরেকটি কারণ। তীব্র বৃষ্টিপাত বা অন্য কিছুর ফলে যদি কোনও অবাঞ্ছিত পদার্থ ভূগর্ভে ঢুকে পড়ে এবং তা ভূগর্ভস্থ ম্যাগমার সঙ্গে মিশে কোনও বিক্রিয়া করে, তার ফলেও আগ্নেয়গিরি জেগে উঠতে পারে। একটি বিশাল অগ্ন্যুৎপাতের অর্থনৈতিক প্রতিক্রিয়া ভয়ঙ্কর হতে পারে, ক্ষতির পরিমাণ ট্রিলিয়ন পর্যন্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের। স্টফেল আশা করেন যে এই ধরনের একটি ডাইস্টোপিয়ান ভবিষ্যত সম্পর্কে সতর্কতা জনসাধারণ এবং নীতিনির্ধারকদের আরও ভালভাবে প্রস্তুতি নিতে প্ররোচিত করবে। সূত্র : এনডিটিভি