প্রকৃতিতে শীতের হাওয়া : এ মাসে একাধিক তীব্র শৈত্যপ্রবাহ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৫০:২৮ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট: ‘ঝিমঝিমে হিম-হাওয়া বয় বার বার, দিকে দিকে বাজে যেন শীতের সেতার।’ শীতকালের রূপ তুলে ধরা কবিতার লাইন দুটিতে। জানুয়ারীতে এসে শীতকাল যেন তার আপন রূপে ফিরেছে। বুধবার ভোর থেকেই সিলেটসহ দেশের প্রায় সব জায়গায় বইছে উত্তুরে হাওয়া। পড়ছে কুয়াশা।
এ বছর ডিসেম্বর মাসেও শীতের প্রকোপ তেমন বেশি দেখা যায়নি। তবে মাসের একেবারে শেষে কুয়াশা যেমন বেড়েছে, তার সঙ্গে বেড়েছে শীত। সেই ধারাবাহিকতা চলছে এই জানুয়ারিতেও। আবহাওয়া অফিস বলছে, ডিসেম্বরে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকলেও এ মাসে শীত জাঁকিয়ে বসতে পারে। হতে পারে একাধিক তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। সর্বোচ্চ ৫টি শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কোনো কোনো শৈত্যপ্রবাহের ফলে দেশের তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর প্রতি মাসের শুরুতে ওই মাসের আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দেয়। তাতেই জানুয়ারির শৈত্যপ্রবাহের বার্তা দেওয়া হয়েছে। তুলে ধরা হয়েছে ডিসেম্বরের তাপমাত্রা ও বৃষ্টির খতিয়ান।
আবহাওয়ার এক মাসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, গত ডিসেম্বর মাসে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে শূন্য দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। ওই মাসে একাধিক লঘুচাপের কারণেই শীতের প্রকোপ কমে গিয়েছিল, এ মত দেন আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক। তিনি বলেন, অন্তত তিনটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয় ডিসেম্বরে।
এখন আবহাওয়া অধিদপ্তর জানুয়ারির পূর্বাভাসে বলেছে, এ মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হতে পারে। আবার এ মাসে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বঙ্গোপসাগরে। দেশের পশ্চিম, উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে দুয়েকটি মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে। দেশের অন্যত্র দুই থেকে তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। জানুয়ারি মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে। তবে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কম থাকার কারণে শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে।
তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ঠিক কোন সময়ে হতে পারে, তা জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, ‘তা এখনই বলা যাচ্ছে না। এ মাসে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পশ্চিম, দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল ও নদী অববাহিকা এলাকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। অন্য জায়গাগুলোতে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। জানুয়ারি মাসের নদ-নদীর অবস্থায় বলা হয়েছে, এ মাসে দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোতে স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বিরাজমান থাকতে পারে। কৃষি আবহাওয়ার পুর্ভাবাসে জানানো হয়, জানুয়ারি মাসে দেশের দৈনিক গড় বাষ্পীভবন এক দশমিক ৫০ থেকে তিন দশমিক শূন্য মি. মি. ও গড় সূর্য কিরণকাল পাঁচ থেকে সাত ঘণ্টা থাকতে পারে।