লন্ডনে খালেদা জিয়া: সাড়ে ৭ বছর পরে দেখা হলো মা-ছেলের
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ৮:০৪:২৮ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: চোখ ও পায়ের চিকিৎসা করাতে ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই যুক্তরাজ্যে গিয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এবারের লন্ডন যাওয়ার আগে পর্যন্ত ওটাই ছিল তাঁর সবশেষ বিদেশ যাওয়া। এরপর সাড়ে ৭ বছর ধরে মা-ছেলের আর সামনা-সামনি দেখা হয়নি। অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান হলো, দেখা হলো মা ও ছেলের।
বুধবার বাংলাদেশ সময় ২টা ৫৫হিথ্রো বিমানবন্দরে আগে থেকেই অপেক্ষা করছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, তাঁর স্ত্রী ও কন্যা জাইমা রহমান। লন্ডনে বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে বিমানবন্দরে জড়ো হন।
এর আগে বাংলাদেশ সময় ২টা ৫৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বিমানবন্দর থেকে তিনি ‘লন্ডন ক্লিনিক’ নামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হবেন।
মঙ্গলবার রাত ১১টা ৪৬ মিনিটে তাঁকে বহনকারী কাতারের আমিরের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে যাত্রা করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
এর আগে মঙ্গলবার রাত সোয়া ৮টায় গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে রওনা হন খালেদা জিয়া। ১০টা ৫০ মিনিটে বিমানবন্দরে পৌঁছান। বিমানবন্দরে তাঁকে বিদায় জানাতে যান বিএনপির মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ আরও অনেক নেতা।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসায় বিদেশ যাত্রার জন্য কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি রাজকীয় বহরের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দিয়েছেন। সর্বাধুনিক চিকিৎসা সুবিধা সংবলিত এই বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ফ্লাইটে করে মঙ্গলবার রাতে লন্ডন যান খালেদা জিয়া।
বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার হযরত আলী খান। তাকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক ও সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমদসহ খালেদা জিয়ার পরিবারের অন্য সদস্যরা এবং দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজে গাড়ি চালিয়ে মা খালেদা জিয়াকে হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে লন্ডন ক্লিনিকে নিয়ে গেছেন। সেখানে কিছুদিন চিকিৎসার পর তার যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার কথা রয়েছে।
বিমানে খোঁজ নিলেন কাতারের রাষ্ট্রদূত: কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে খালেদা জিয়া লন্ডনের পথে ঢাকা ছাড়ার পর পথে কাতারে কিছু সময়ের জন্য যাত্রাবিরতি হয়। এসময় কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক খোঁজখবর নিয়েছেন। বুধবার খালেদা জিয়ার সঙ্গে যাওয়া তার চিকিৎসক টিমের সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
শায়রুল কবির জানান, কাতারের হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বহন করা বিমানে বাংলাদেশের কাতারে রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম সাক্ষাৎ করে তার শারীরিক খোঁজখবর নিয়েছেন।