লোভাছড়া কোয়ারীর জব্দকৃত পাথরের পরিমাণ ও সীমানা নির্ধারণের দাবি
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ৮:০৮:৫৬ অপরাহ্ন
কানাইঘাটের লোভাছড়া কোয়ারীর উভয়পাড়ে স্তূপাকারে রাখা পাথর বৈধ ইজারার মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয় করতে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন ব্যবসায়ীবৃন্দ।
বুধবার সিলেট প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, লোভাছড়া কোয়ারীতে পাথর উত্তোলন করা হয় শুকনো মৌসুমে এবং স্থানান্তর করা হয় নদীপথে। স্থলপথে লোভা কোয়ারীর পাথর ক্রয়-বিক্রয় বা স্থানান্তরের কোন ব্যবস্থা নেই। বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের ভারতপ্রেমি কিছু এমপি, মন্ত্রী তাদের স্বার্থ হাসিল করতে আমাদের ক্ষতির মুখে ঠেলে দিয়েছে। ২০২০ সালে আমাদের ইজারার মেয়াদ শেষ হয়েছে জানিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালকের মাধ্যমে স্তূপের পাথর জব্ধ করে রাখে। পরবর্তীতে পরিবেশ অধিদপ্তর নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এ পাথর একাধিকবার পুনঃ নিলাম করা হলেও আইনি জটিলতার কারণে নিলাম কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ জানান, গত ২৯ ডিসেম্বর পুনরায় নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। তবে নিলামে মালামালের বিবরণীতে জব্দকৃত পাথরের পরিমাণ, সীমানা নির্ধারণ এবং কয়টি রীট মামলায় কোন স্থানে কতটুকু পাথর বাদ দেওয়া হয়েছে তা নির্ধারণ করা হয়নি। তাছাড়া, পাথর অপসারণের জন্য ৪৫ দিন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে যা বাস্তবতার নিরিখে অসম্ভব। এ অবস্থায় নিলাম প্রক্রিয়া কার্যকর হলে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটার আশংকা রয়েছে।
ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, প্রায় ৫ বছর ধরে নিরিহ সাধারণ ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্তের সম্মুখীন। তাছাড়া, দীর্ঘদিন থেকে পাথর কোয়ারী বন্ধ থাকায় লক্ষ লক্ষ পাথর শ্রমিক কাজ না পেয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছেন। লোভা কোয়ারীর ক্ষতিগ্রস্ত পাথর ব্যবসায়ীদের দুর্দশার কথা বিবেচনা করে জব্দকৃত পাথরের পরিমাণ স্পষ্টিকরণ ও জব্দকৃত পাথরের সীমানা নির্ধারণ এবং কয়টি রীট মামলায় কোন স্থান হতে কোন স্থান পর্যন্ত কতটুকু পাথর বাদ দেওয়া হয়েছে তা নির্ধারণ করার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোলাগুল পাথর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেড এর সভাপতি মো. নজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. আলতাফ হোসেন, লোভাছড়া আদর্শ পাথর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেড এর সভাপতি নাজিম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম। বিজ্ঞপ্তি