কবি আফজাল চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৪৯:৩২ অপরাহ্ন
বাংলা সাহিত্যে ষাটের দশকের শক্তিমান কবি আফজাল চৌধুরীর ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার। কল্যাণব্রতের কবি খ্যাত শিক্ষাবিদ আফজাল চৌধুরী ছিলেন তাঁর সমসাময়িক কবিদের মধ্যে এক উজ্জ্বল ব্যতিক্রমধারার কবি।
সাহিত্যের টাইরেসিয়াস খ্যাত দূরদর্শী এই প্রবক্তা কবি আত্মিক দিক দিয়ে নিপীড়িত বিশ্বের সকল মানুষের বিশেষভাবে শোষিত ও নির্যাতিত মুসলিম জনগণের পক্ষে ছিলেন অত্যন্ত সোচ্চার। মানবাত্মার সব ধরনের অবমাননার বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন চির প্রতিবাদী কবিকণ্ঠ। তাঁর অধিকাংশ কবিতায় এ সত্য উপস্থাপিত। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের কম্যুনিস্ট শাসকগোষ্ঠীসহ বিশ্বব্যাপী কমিউনিজমের ধ্বজাধারী কায়েমী স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর সাত দশকের অপশাসন শোষণ ও গণহত্যার নিন্দায় অধ্যক্ষ কবি আফজাল চৌধুরীর কবিতা ছিলো প্রতিবাদমুখর। তিনি সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের অনেক আগেই এ সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। যখন এ দেশের অধিকাংশ কবি সাহিত্যিক ছিলেন সোভিয়েত সামাজিক সাম্রাজ্যবাদীদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তাঁর আলেকজান্ডার সোলঝোনেৎসিনকে নিবেদিত কবিতা, ‘হে পৃথিবী নিরাময় হও’ কাব্যনাটক এবং ‘সামগীত দুঃসময়’ কাব্যগ্রন্থে এ ভবিষ্যদ্বাণী স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। তিনি পুঁজিবাদী শোষক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেও ছিলেন সমালোচনামুখর। তাঁর অধিকাংশ কবিতায় এই সচেতনতা ও সামাজিক দায়িত্ববোধ লক্ষ্য করা যায়।
আফজাল চৌধুরী ধ্যানী ও রেনেসাঁর কবি হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিত হলেও বিশ্বমানবতা ছিলো তাঁর কাব্যের মূল সুর। আর এটা মানবধর্ম ইসলামের মহান আদর্শ সজ্ঞাত।
কবি আফজাল চৌধুরীর জন্ম ১০ মার্চ ১৯৪২, ইন্তেকাল ৯ জনুয়ারি ২০০৪ সাল। তিনি চট্টগ্রাম সিলেটসহ বিভিন্ন কলেজের বাংলার অধ্যাপক ছিলেন। সর্বশেষ হবিগঞ্জ বৃন্দাবন ডিগ্রি কলেজের প্রিন্সিপালের দায়িত্ব পালন করেন।
কর্মসূচী : কবির ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সিলেট সাংস্কৃতিক সংসদের পক্ষ থেকে স্মরণ সভা ১৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে পরিবারের পক্ষ থেকে আজ ৯ জানুয়ারি বাদ আসর রায়নগর-সোনারপাড়া জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। বিজ্ঞপ্তি