কোম্পানীগঞ্জে সমবায় অফিসে দুর্নীতির অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ৮:২৩:১২ অপরাহ্ন
কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সমবায় অফিসের কর্মকর্তা ও অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে একই কর্মস্থলে বছরের পর বছর কর্মরত থেকে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী। বুধবার উপজেলা প্রশাসন ও সিলেট বিভাগীয় সমবায় অধিদপ্তরে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনা উল্লেখ করে অভিযোগ দেন।
অভিযোগে এলাকাবাসী উল্লেখ করেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোহাম্মদ আক্তার হোসেনের যোগসাজশে অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর মোঃ সাইফুল ইসলাম উপজেলা সমবায় কর্মকর্তার কার্যালয়ে ১২-১৪ বছর যাবৎ একই কর্মস্থলে কর্মরত থাকায় এলাকাভিত্তিক সমবায় সমিতি তৈরি করতে গিয়ে সিন্ডিকেট গঠন করে ফেলায় তাঁর মর্জি মোতাবেক সমবায় সমিতি পরিচালনা ও উন্নয়নমূলক কাজ করতে গিয়ে লোকজন জিম্মি হয়ে পড়েছেন। অফিস সহকারী অপকর্মের সাথে উপজেলা সমবায় অফিসার মোহাম্মদ আক্তার হোসেন জড়িত আছেন। সমিতির রেজিস্ট্রেশন বাতিল ও অডিট আপত্তির ভয় দেখিয়ে অনৈতিক সুবিধা যৌথভাবে আদায় করে যাচ্ছেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয় নতুন একটি সমবায় সমিতি নিবন্ধন করতে যেখানে সরকারি ফি: ৩৪৫ টাকা লাগে সেখানে ৭০-৮০ হাজার টাকা ছাড়া নিবন্ধন করেন না। তাছাড়া সিডিডিনি প্রকল্পের গ্রামকর্মীর মাসিক ভাতা ২৫০০ টাকা হলেও এখানে প্রতি কর্মী থেকে ১ হাজার টাকা অফিস খরচের নাম করে প্রতি মাসে রেখে দেন। বিভিন্ন এলাকায় পুরাতন সমিতি অডিট করতে গেলে অডিট খরচ বাবদ ১০ হাজার টাকা করে অর্থ আদায় করেন। আর্থিক চাহিদা পূরণ না করলে কোন সমিতি সহজে অডিট করতে পারে না এমনকি জলমহাল টেন্ডায় নিতে পারেন না। এরকম আতঙ্কিত পরিবেশে সমিতির সাধারণ মানুষ অফিস কর্তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে
।
মোহাম্মদ আক্তার হোসেন অভিযোগের কথা অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো তুলা হয়েছে এগুলোর সত্যতা নাই। আর অফিস সহকারী সাইফুল ইসলাম টানা দশ বছর কোম্পানীগঞ্জে কর্মরত ছিলেন মাঝে ১ বছর অন্য উপজেলায় কর্মরত থেকে আবারও কোম্পানীগঞ্জে এসেছেন। তাঁর দুর্নীতি বা অনিয়মের বিষয়ে আমার জানা নাই।