কুরআনের কথা বলায় আল্লামা সাঈদীকে শহীদ করা হয়েছে : সিলেটে শামীম সাঈদী
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ৮:০২:২৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী (র.) এর বড় ছেলে শামীম বিন সাঈদী বলেছেন, আমার বাবার স্বপ্নম ছিল বাংলাদেশে কুরআনের রাজ কায়েম করা। শুধুমাত্র এই কারণেই ফ্যাসিস্ট সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কুরআনের পাখি আল্লামা সাঈদী (র.) এর উপর সীমাহীন জুলুম নিপীড়ন চালিয়েছে। সকল জুলুম উপেক্ষা করে তিনি দ্বীনের ব্যাপারে ছিলেন আপোষহীন। তাই ভারতের প্রেসক্রিপশনে হাসপাতালে আল্লামা সাঈদীকে বিষপ্রয়োগে হত্যা করা হয়েছে। ২০০০ ছাত্র-জনতার জীবন ও ৪০ হাজারের বেশী ছাত্র-জনতা রক্তের বিনিময়ে দীর্ঘ এক যুগ পর কুরআনের পাখির স্মৃতি বিজড়িত মাহফিলে উপস্থিত থাকতে পারায় আমি কৃতজ্ঞ।
তিনি শুক্রবার সন্ধ্যায় সিলেট এমসি কলেজে মাঠে আনজুমানে খেদমতে কুরআন সিলেট আয়োজিত ৩দিনব্যাপী তাফসীরুল কুরআন মাহফিলের ২য় দিনে আলোচনা পেশকালে উপরোক্ত কথা বলেন।
শামীম সাঈদী আরো বলেন, কুরআনের কথা বলার কারণে আদর্শিক মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়ে বিচারের নামে প্রহসন চালিয়ে ফরমায়েসী রায়ে আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ডের সাজা দেয়া হয়। এর প্রতিবাদে গোটা দেশের মানুষ ফুসে উঠে। আমার সিলেটের ভাইয়েরাও সেই আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন। আমরা সিলেটের তৌহিদী জনতার কাছে ঋণী। ফ্যাসিস্ট সরকার যখন বুঝেছিল যে আল্লামা সাঈদীকে ফাসি দিয়ে হত্যা করা যাবেনা। তখন আমৃত্যু কারাদন্ডের ফরমায়েসী সাজা দিয়ে কারাগারে আটকে রাখে। এতেও পতিত ইসলাম বিদ্বেষী সরকার ক্ষান্ত হয়নি। একটা সময় যখন স্বৈরাচারী সরকার বুঝতে পেরেছিল তারা কোনভাবেই ক্ষমতায় থাকতে পারবেনা। ঠিক তখনই ভারতের প্রেসক্রিপশনে আল্লামা সাঈদীকে হাসপাতালে নিয়ে বিষপ্রয়োগে হত্যা করা হয়েছে। আল্লামা সাঈদীর শেষ স্বপ্ন কুরআনের রাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা এর প্রতিশোধ নেবো। আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের, সমাজ হবে কুরআনের।
তাফসীর মাহফিলের ২য় দিনের পৃথক অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন যথাক্রমে সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক জালালাবাদ সম্পাদক মুকতাবিস-উন-নূর এবং বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ফজলুর রহমান। অধ্যক্ষ মাওনানা আব্দুস সালাম মাদানী, মুফতী আলী হায়দার, মাওলানা মাশুক আহমদ, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ও মাওলানা সাইফুল ইসলামের যৌথ উপস্থাপনায় মাহফিলে আলোচনা পেশ করেন শামীম বিন সাঈদী, শায়খ সাঈদ বিন নুরুজ্জামান আল মাদানী, হাফিজ মিফতাহুদ্দীন, ক্বারী মাওলানা মতিউর রহমান, মাওলানা সাদিক সিকান্দর প্রমূখ।
শুক্রবার রাত ৮টার পর তাফসীর পেশ করবেন শায়েখ শাহ ওয়ালী উল্লাহ ও মাওলানা সাদিকুর রহমান আজহারী।
মাহফিলে ২য় দিনের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন আনজুমানের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জাহেদুর রহমান চৌধুরী। ক্বেরাত পাঠ করেন ক্বারী আবুল হাসনাত বেলাল ও ক্বারী আবু জাফর। আব্দুল হাই। মাহফিল চলাকালে হামদ-নাথ পরিবেশন করেন দিশারী শিল্পী গোষ্ঠী, আল ফালাহ সাংস্কৃতিক সংসদ, তারান্নম শিল্পীগোষ্ঠী ও সুরমা সাংস্কৃতিক সংসদের শিল্পীবৃন্দ।