শাহ আরেফিনের মাজার থেকে পাথর উত্তোলন দখল নিয়ে দু’পক্ষ মুখোমুখি
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ৮:২৬:২১ অপরাহ্ন
কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি: শাহ আরেফিনের মাজার মসজিদ মাঠ ও কবরস্থান খুঁড়ে চলছে পাথর উত্তোলন। বেশ কিছুদিন ধরে এসব জায়গা থেকে পাথর উত্তোলন করে টিলাকে পুকুরে পরিণত করা হয়েছে। শনিবার শাহ আরেফিন টিলার মাজার থেকে পাথর উত্তোলনের জায়গা দখল নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয় পাথরখেকো দুই পক্ষ। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সেখানে গিয়ে দু’পক্ষকে শান্ত করেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, প্রতিদিন শাহ আরেফিনের টহলরত পুলিশকে ম্যানেজ করে চলছে মাজার মসজিদ মাঠ ও কবরস্থান খুঁড়ে পাথর উত্তোলন। এই পাথরের গাড়ি থেকে তারা ৫’শ করে চাঁদা নিয়ে বৈধতা দেন। তাদের সাথে হাত মিলিয়ে স্থানীয় জালিয়ারপাড় গ্রামের প্রভাবশালীমহল খেলার মাঠ কবরস্থান মসজিদ ও মাজার থেকে পাথর উত্তোলন করাচ্ছেন। যার নেতৃত্বে রয়েছেন বাবুল আহমদ, মনির মিয়া গ্রুপ ও বশর মিয়া গ্রুপ। দীর্ঘদিন থেকে তাদের মধ্যে সমঝোতা করে ভাগবাটোয়ারা হলেও গত সপ্তাহ থেকে জায়গা দখল নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জেরে শনিবার সকালে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ দু’পক্ষ শাহ আরেফিন টিলার মাঠে মুখোমুখি হয়। তবে মারামারিতে জড়ানোর আগেই স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মিলে দু’পক্ষকে সেখান থেকে সরিয়ে দেন। স্থানীয় আরেকটি সুত্রে জানা গেছে দুই পক্ষ শক্তিশালী হওয়ায় যে কোন সময় বড় ধরনের সংঘর্ষ হতে পারে। এতে ঘটতে পারে হতাহতের মতো বড় ঘটনা।
সরকার পতনের পর শুরু হয় শাহ আরেফিনের মাজার মসজিদ কবরস্থান ও খেলার মাঠ থেকে পাথর লুটপাট। সেখানের পাথরের গাড়ি থেকে ৩ হাজার করে কমিশন নেয় বাবুল মনির বশর গ্রুপ। তাদের ম্যানেজার ইব্রাহিম ও ইসমাইলের মাধ্যমে তারা এই কমিশন নিয়ে থাকেন। গত পাঁচ মাসে এই গ্রুপ দু’টি প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা কমিশন বাণিজ্য করেছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ উজায়ের আল মাহমুদ আদনান বলেন, জায়গা দখল নিয়ে মারামারির কোন সংবাদ আমি পাইনি। বিষয়টি খবর নিয়ে দেখছি। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয় এমন কোন কাজ যাতে কেউ করতে না পারে সেজন্য পুলিশ সবসময় তৎপর রয়েছে।