আল-হামরা থেকে আড়াই’শ ভরি স্বর্ণ চুরি : ৪ দিনেও আটক নেই
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ৯:২৬:৩৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারস্থ আল-হামরা শপিং সিটির জুয়েলারী দোকান থেকে ২৫০ স্বর্ণ চুরির ৪ দিনেও গ্রেফতার হয়নি কেউ। তবে এর রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন এসএমপির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
এর আগে দোকানের তালা ভেঙে ২৫০ ভরি স্বর্ণ চুরির ঘটনায় শুক্রবার (১০ জানুয়ারী) রাতে কোতোয়ানী থানায় মামলা দায়ের করেন আল হামরার চতুর্থ তলায় ‘নুরানী জুয়েলার্স’ এর স্বত্বাধিকারী দেওয়ান মো. জাবেদ চৌধুরী। চুরি হওয়া স্বর্ণের বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা বলে দাবি করেছেন জাবেদ চৌধুরী।
জানা গেছে, বুধবার দিবাগত (৯ জানুয়ারী) রাতে অথবা বৃহস্পতিবার সকালের কোনো এক সময় এই চুরির ঘটনা ঘটে। চুরির পর চোরচক্র দোকানের ভেতরে থাকা সিসি ক্যামেরা ও ডিভিআর খুলে নেয় এবং সার্টারে নতুন তালা ঝুলিয়ে চলে যায়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দোকানের মালিক-কর্মচারীরা নতুন তালা ভেঙে ঢুকে চুরির ঘটনাটি দেখতে পান। খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
জুয়েলারির স্বত্বাধিকারী দেওয়ান মো.জাবেদ চৌধুরী বলেন- দোকানে প্রায় ২৫০ ভরি স্বর্ণ ছিল। চোরেরা সব লুট করে দিয়ে শার্টারে ভাঙা তালা সরিয়ে নতুন তালা ঝুলিয়ে দেয়। দোকানের ভেতরে ডিভিআরসহ সিসিটিভি ক্যামেরা খুলে নিয়ে গেছে চোরের দল। সুরক্ষিত এই মার্কেটে এটাই প্রথম কোনো দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা। তবে পুলিশ শপিং মলের অন্যান্য সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে চোর শনাক্তের চেষ্টা করছে।
সিলেট মহানগর ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও আল হামরা শপিং সিটির দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রহমান রিপন বলেন, মার্কেটে ২২ জন সিকিউরিটি ২ শিফটে কাজ করেন। রাতে প্রতিটি তলায় ২ জন করে সিকিউরিটি দায়িত্বে থাকেন। চুরি হওয়া দোকানটি শপিং সিটির ৪র্থ তলায়। ওই তলায় ২টি ক্যামেরা নষ্ট পাওয়া গেছে। এছাড়া বাকি ক্যামেরাগুলো সচল ছিল। সব সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনায় মার্কেটের কেউ জড়িত আছে কিনা, সেটাও মাথায় রেখে তদন্ত চলছে।
এ ব্যাপারে এসএমপির মিডিয়া অফিসার উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, দোকানের মালিক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি। পুরো চুরি প্রক্রিয়াটি রহস্যজনক। তাই পুলিশ বিভিন্ন দিক থেকে তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে চোর সিন্ডিকেটকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে। শীঘ্র্ই তাদেরকে গ্রেফতার করা হতে পারে।