বড়লেখায় চলাচলের রাস্তায় টিনের বেড়া : ৩ দিন ধরে অবরুদ্ধ ৫ প্রবাসী পরিবার
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ৬:৪৭:০৭ অপরাহ্ন
বড়লেখা প্রতিনিধি:
বড়লেখা উপজেলার পূর্ব-হাতলিয়া গ্রামের পাঁচ প্রবাসী পরিবারের ৫০/৬০ বছরের যাতায়াত রাস্তায় দুই দিকে টিনের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিবেশি ছাত্রলীগ নেতা জাসিম আহমদ, তার বাবা আব্দুল মুহিত ও মুহিবুর রহমান। এতে প্রবাসী আবির আহমদের বাবা-মা, ভাইবোন ও পরিবারের সদস্যসহ পাঁচ প্রবাসী পরিবারের লোকজন ৩ দিন ধরে অবরুদ্ধ রয়েছেন। রাস্তায় বেড়া স্থাপনকালে বাধা দেওয়ায় প্রতিপক্ষ প্রবাসী আবির আহমদের বাবা আব্দুল ওহাবকে রক্তাক্ত জখম করেছে।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রাস্তার প্রতিবন্ধকতা অপসারণের নির্দেশ দিলেও প্রভাবশালীরা তা শুনেনি। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগি প্রবাসী পরিবারের সদস্য নাছিম আহমদ সোমবার ইউএনও ও থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগ ও সরেজমিনে জানা গেছে, প্রবাসফেরত আব্দুল ওয়াব, আব্দুল বাছিত, আব্দুল গনি, আব্দুল রব্বানির পরিবারের লোকজন প্রায় ৬০ বছর ধরে সামনের রেকর্ডিয় রাস্তা দিয়ে চলাচল করছেন। এই রাস্তাটি পরিবারগুলোর বের হওয়ার একমাত্র রাস্তা। কিন্তু প্রতিবেশি ছাত্রলীগ নেতা জাসিম আহমদ, তার বাবা আব্দুল মুহিত ও মুহিবুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে এই পাঁচ পরিবারের লোকজনের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার পাঁয়তারা চালিয়ে আসে। এ ব্যাপারে প্রবাস ফেরত আব্দুল ওহাব ২০২১ সালে বড়লেখা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আব্দুল মুহিত, মুহিবুর রহমানসহ প্রতিপক্ষের ১৩ জনের বিরুদ্ধে পিটিশন মামলা করেন। যা আদালতে বিচারাধীন। এরমধ্যে গত ১১ জানুয়ারি প্রতিপক্ষের লোকজন হঠাৎ করে ওই পাঁচ পরিবারের চলাচলের রাস্তায় দুই দিক থেকে টিনের বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয়। বাধা দেওয়ায় ভুক্তভোগি আব্দুল ওহাবকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তিনদিন ধরে পাঁচ পরিবারের অর্ধ-শতাধিক সদস্য অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। ভুক্তভোগি এক পরিবারের পোল্ট্রি ফার্মে মোরগের খাবার দেওয়া যাচ্ছে না।
অভিযুক্ত আব্দুল মুহিত ও মুহিবুর রহমান জানান, তারা মামলার রায় পেয়ে রাস্তা বন্ধ করেছেন। তবে, আদালতের রায় সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
থানার ওসি মো. আব্দুল কাইয়ুম জানান, অভিযোগ পেয়েই একজন অফিসারকে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে অভিযোগের সত্যতা পান। অভিযুক্তদের রাস্তার প্রতিবন্ধতকা অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।