গোয়াইন নদীতে চলছে বালু উত্তোলনের মহোৎসব
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ৭:০২:২৭ অপরাহ্ন

Exif_JPEG_420
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি:
এবার সিলেটের গোয়াইনঘাটে প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে বালু উত্তোলনের মহোৎসব। বালু উত্তোলনের ফলে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমি ও গোয়াইন সেতু পড়ছে হুমকির মুখে। কিছু স্বার্থান্বেষীরা উপকৃত হলেও পরিবেশ ও নদীর তীর শঙ্কটাপন্ন হচ্ছে। এতে সরকার হারাচ্ছে বড় অঙ্কের রাজস্ব। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ইজারাবহির্ভূত স্থান থেকে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চললেও প্রশাসনের সদর দরজা গোয়াইন সেতু বধ্যভূমির নীচ থেকে দিবারাত্রি বালু উত্তোলিত হচ্ছে। কিছু সংখ্যক স্বার্থান্বেষী চক্র অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে ৩৫/৪০ টাকায় প্রতি ঘনফুট বালু বিক্রি করছে।
সিলেটের গোয়াইনঘাটে স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের দাবীর প্রেক্ষিতে পূর্নানগর বধ্যভূমি চিহ্নিত হয়। সেই বধ্যভূমি ও গোয়াইন সেতুর নীচ থেকে দিবারাত্রি উত্তোলিত হচ্ছে বালু। উপজেলা প্রশাসনের গেইট সংলগ্ন এলাকায় হুমকীর মুখোমুখি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি জড়ানো বধ্যভূমি ও তৎকালীন উন্নয়নের স্বপ্নদ্রষ্টা সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের প্রচেষ্টায় স্থাপিত গোয়াইনঘাটবাসীর স্বপ্নের গোয়াইন সেতু। গত ১ জানুয়ারী থেকে শুরু হয় বালু উত্তোলন। ভারপ্রাপ্ত ইউএনও সাইদুল ইসলাম ৯ জানুয়ারী সরেজমিন এই তান্ডব দেখে নিষেধ করেন, কিন্তু থামেনি বালু উত্তোলন। রোববার দিনভর রহস্যজনকভাবে প্রশাসনের সামনে মহোৎসব চলে। একইভাবে আহারকান্দি, পরগনাবাজার সংলগ্ন নদী খাল থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি হচ্ছে।
স্থানীয়দের দাবী তাদের রেকর্ডীয় জমি থেকে বালু তুলে বিক্রি করছেন। আর উত্তলিত বালু পরিবহনে ব্যবহৃত হচ্ছে স্থানীয়ভাবে তৈরী ট্রাক্টর ও হালেরগাড়ি। ফলে রাস্তায় যাত্রীবাহি যানবাহন, পথচারী চলাচল শঙ্কাগ্রস্ত হচ্ছে। পরগনা বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের রাস্তাটি এখন বালু উত্তোলন পরিবহনে ব্যবহৃত হওয়ায় ধূলোময় পরিবেশে পাঠগ্রহণ করতে হচ্ছে। মাটি ও বালু ব্যবস্থাপনা আইন হচ্ছে লঙ্ঘিত।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউএনও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাঈদুল ইসলাম বলেন, ব্রীজের নীচ ও বধ্যভূমির পার্শ্ব থেকে বালু উত্তোলন নিষেধ করা হয়েছে। তবে স্থানীয় লোকজন বলেন ব্রীজেই পুলিশ চেকপোস্ট আর নীচ থেকে উত্তোলন হয় বালু। প্রশাসন দেখেও থাকে উদাসীন। তাদের সামনেই বধ্যভূমি আর গোয়াইন সেতু পড়ছে হুমকির মুখে। এ ব্যাপারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন এলাকাবাসী।