শান্তিগঞ্জে সরিষা চাষে কৃষকের মুখে হাসি
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ৭:২২:০৩ অপরাহ্ন
শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি: চাষাবাদের অনুপযোগী হওয়ায় হাওরবেষ্টিত সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় আমন এবং বোরো ফসলের অনুপযোগী ১’শ ৪০ হেক্টর পতিত জমিতে সরিষা চাষের উদ্যোগ নিয়েছে শান্তিগঞ্জ উপজেলা কৃষি বিভাগ। কৃষকদের সরিষা চাষে উৎসাহিত করতে এবং পতিত জমিকে ফসলের আবাদ উপযোগী করতে চলতি বছর ২’শ ৭০ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বারি সরিষা-৯, বারি সরিষা-১৪ ও বিনা সরিষা-১১ নামে ৩ জাতের উন্নত সরিষা বীজ ও সার বিতরণ করেছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর উপজেলায় ১’শত ৪০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। যা গত বছর ছিল ১’শত ৩০ হেক্টর। এবছর ফলন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১’শ ৮৬ মেট্রিক টন সরিষা। উৎপাদিত সরিষা থেকে পাওয়া যাবে ৭৪ হাজার ৫’শ লিটার ভোজ্য তেল, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১ কোটি ৭৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা।
এদিকে, পতিত জমিতে স্বল্প খরচে সরিষা চাষে ভালো ফলন হওয়ায় স্বস্তিতে রয়েছেন সরিষা চাষীরা। সরিষার ভালো ফলনে লাভের সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় প্রফুল্ল তারা।শান্তিগঞ্জের পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের চিকারকান্দি গ্রামের কৃষক কামরুল ইসলাম বলেন, এবছর প্রায় ৭ কেয়ার (২ একর ১০ শতক) জমিতে সরিষা চাষ করেছি। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে সরিষা বীজ পেয়েছি। হালচাষ, সেচ ও মজুরীসহ কেয়ারপ্রতি প্রায় ৪ হাজার টাকার মত খরচ হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর ফলন অনেক ভালো হয়েছে। আশা করছি ভালো লাভ হবে।
শিমুলবাঁক ইউনিয়নের ধনপুর গ্রামের সরিষা চাষী শহিদ মিয়া বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে দুই ধরনের সরিষা বীজ বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। ৪ কেয়ার (১ একর ২০ শতক) পতিত জমিতে সরিষা চাষ করেছি। আমাদের এখানে পানি সংকট খুব বেশি। পানি সংকট সমাধানে কৃষি অফিসের সহযোগীতা চেয়েছি। ফলন ভালোই হয়েছে। লাভের মুখ দেখবো আশাবাদী।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবিব জানান, বোরো ফসলের অনুপযোগী পতিত জমিকে কাজে লাগাতে সরকারী প্রণোদনায় কৃষকদের মাঝে সরিষা বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সার্বিক পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তাই কৃষকরা উৎসাহিত হয়ে সরিষার ব্যাপক চাষাবাদ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর সরিষার ফলন ভালো হয়েছে। আমরা আশাবাদী ফসলের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।’