কোটি টাকায় কেনা হচ্ছে ১০ ইতালিয়ান কুকুর : প্রশিক্ষণে যাচ্ছেন পুলিশসহ ৮ জন
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ৮:৪৬:৩৮ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর থেকে সরকারি খরচ কমানো নিয়ে চিন্তা ভাবনায় রয়েছে। কিছুদিন আগেও ভারতে একটি প্রশিক্ষণের যাওয়ার বিষয় বাতিল হয়েছিল। এবার কুকুর পরিচালনা শিখতে ও প্রাক জাহাজীকরণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে ইতালি যাচ্ছেন বাংলাদেশ পুলিশের সাতজনসহ আটজন।
এই আটজনের মধ্যে পাঁচজন ১৪ জানুয়ারি থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৪দিন আর বাকি তিনজন সাতদিন দেশিটিতে অবস্থানের কথা রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত সোমবার এ-সংক্রান্ত একটি সরকারি আদেশ (জিও) জারি করেছে।
জানা যায়, বাংলাদেশ পুলিশের ডগ স্কোয়াডের জন্য ইতালি থেকে ১০টি কুকুর কেনার দরপত্রে কার্যাদেশ পেয়েছে তামাম করপোরেশন। প্রতিটি কুকুরের দাম পড়ছে ৯ হাজার ৭২ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ লাখ টাকা। এসব কুকুর পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণ নিতে দেশটিতে যাচ্ছেন পুলিশের পাঁচজন। এছাড়া প্রাক্-জাহাজীকরণের (পিএসআই) সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে যাচ্ছেন পুলিশের দুজন কর্মকর্তা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি। শর্ত অনুযায়ী এসব খরচ বহন করবে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সরকারি আদেশের তথ্য অনুযায়ী, কুকুর ব্যবস্থাপনা, হ্যান্ডলিং ও প্রশিক্ষণের জন্য ১৪ দিনের জন্য ইতালি যাওয়ার কথা পুলিশের পাঁচজনের। তারা হলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সহকারী কমিশনার ওবাইন, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) এম রাকিবুল হাসান ভুইয়া, ডিএমপির নায়েক মো. সালাউদ্দিন প্রধান, কনস্টেবল মজবুর রহমান ও সুজয় মহন্তা জয়। তাদের ১৪ জানুয়ারি থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ইতালিতে অবস্থানের কথা আদেশে বলা হয়েছে।
পুলিশ সদরদপ্তরের থেকে জানা যায়, এই ১০টি কুকুর দেশে আসার আগে সম্ভাব্যতা যাচাই করতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম সাহাবউদ্দিন আহমেদ, ডিএমপির ভেটেরিনারি কর্মকর্তা মো. গিয়াস উদ্দিন ইবনে রহমান এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধির ইতালি যাওয়ার কথা। মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দেওয়ার জন্য পুলিশ সদর দপ্তর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, তিন সদস্যের এই প্রতিনিধিদল ইতালিতে সাত দিন অবস্থান করতে পারবে।
যে ১০টি কুকুর আনা হচ্ছে, সেগুলো ইতালির ভাষা বোঝে। এগুলোকে বাংলা ভাষা বোঝাতে হবে। এছাড়া এসব কুকুর পরিচালনা ও দেখভাল করার জন্য দক্ষ জনবল প্রয়োজন। এ কারণে পুলিশ সদরদপ্তর থেকে পাঁচজনকে প্রশিক্ষণের জন্য ইতালি পাঠানো হচ্ছে। প্রশিক্ষণে যাওয়া-থাকাসহ যাবতীয় খরচ কুকুর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বহন করার কথা। প্রশিক্ষণ, তাদের যাতায়াতসহ সব খরচ কষেই সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কুকুরের দাম ধরেছে।
সরকারি আদেশে বলা হয়েছে, এই প্রশিক্ষণের সঙ্গে সম্পর্কিত সব খরচ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বহন করবে, বাংলাদেশ সরকারের কোনো আর্থিক সম্পৃক্ততা থাকবে না। তাদের অবস্থানকে কর্তব্যরত হিসেবে গণ্য হবে। অনুমোদিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় কেউ বিদেশে থাকতে পারবেন না। প্রশিক্ষণ থেকে ফিরে আসার ১৫ দিনের মধ্যে তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে একটি প্রতিবেদন জমা দেবেন। প্রশিক্ষণের পর তাদের ডগ স্কোয়াডে কাজ করতে হবে।