ডব্লিউইএফের বৈশ্বিক ঝুঁকি প্রতিবেদন : ৫ ঝুঁকিতে বাংলাদেশ, শীর্ষে মূল্যস্ফীতি
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ৯:১১:৪৫ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট : এ বছর (২০২৫) বাংলাদেশের জন্য ৫টি বড় ঝুঁকি চিহ্নিত করেছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ)। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি মূল্যস্ফীতি। ডব্লিউইএফের বৈশ্বিক ঝুঁকি প্রতিবেদন ২০২৫-এ এমন তথ্য উঠে এসেছে। ১৫ জানুয়ারি এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
দেশভিত্তিক প্রধান ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করতে নির্বাহী মতামত জরিপ (ইওএস) চালায় ডব্লিউইএফ। এটি মূলত ধারণাভিত্তিক জরিপ। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের জিজ্ঞেস করা হয়, ‘আগামী দুই বছরে আপনার দেশের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কোনগুলো।’ অংশগ্রহণকারীদের ৩৪টি ঝুঁকির তালিকা দেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁরা পাঁচটি প্রধান ঝুঁকি চিহ্নিত করেন। ঝুঁকির পাঁচটি ক্ষেত্র চিহ্নিত করেছে ডব্লিউইএফ। উচ্চ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে আরও যে চারটি ঝুঁকির খাত তারা চিহ্নিত করেছে, সেগুলো হলো চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া (বন্যা, তাপপ্রবাহ), দূষণ (বায়ু, পানি, মাটি), বেকারত্ব ও অর্থনৈতিক সুযোগের অভাব এবং অর্থনৈতিক নি¤œমুখিতা (মন্দা, স্থবিরতা)।
প্রতিবেদনে বৈশ্বিক পরিসরে চলতি বছরের জন্য ১০টি প্রধান ঝুঁকির ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়েছে। জলবায়ুগত, সামাজিক ও অর্থনৈতিকসহ সাম্প্রতিক বছরগুলোর অন্যান্য উদ্বেগকে ছাপিয়ে বিশ্বের জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হয়ে দাঁড়াতে পারে রাষ্ট্রভিত্তিক সশস্ত্র সংঘাত। অথচ দুই বছর আগেও এটিকে বড় ঝুঁকি হিসেবে দেখা হতো না।
বৈশ্বিক শীর্ষ ১০ ঝুঁকির মধ্যে অন্য ঝুঁকিগুলো হলো চরমভাবাপন্ন আবহওয়া, ভূ-অর্থনৈতিক বিবাদ, অপতথ্য ও ভুল তথ্য, সামাজিক মেরুকরণ, বৈশ্বিক ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন, অর্থনৈতিক সুযোগের অভাব বা বেকারত্ব, মানবাধিকার বা নাগরিক স্বাধীনতার অবক্ষয় ও অসমতা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, জলবায়ু সংকট ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বিশ্বব্যাপী নীতিনির্ধারকদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব ঝুঁকি মোকাবিলায় দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মত দিয়েছে ডব্লিউইএফ।