ফিলিং স্টেশনের ১৬ লাখ টাকা চুরি : ক্যাশিয়ারসহ আটক ৩
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ৯:২৩:৫৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেট নগরীর তেমুখীস্থ সাফাত উল্লাহ ফিলিং স্টেশন থেকে ১৬ লাখ চুরির ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের ক্যাশিয়ারসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার রাতে কেফায়েত হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে চুরির প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে মেসার্স সাফাত উল্লাহ ফিলিং স্টেশনের এ চুরির ঘটনা ঘটে। ওই ফিলিং স্টেশনেরই এক কর্মচারীর যোগসাজশে চুরি সংঘটিত হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। চুরির ঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সিলেট নগরীর কানিশাইল এলাকার বাসিন্দা কেফায়েত হোসেন (২৬), খুলিয়াটুলা এলাকার ঝাড়ু মিয়া (২৮) ও ফিলিং স্টেশনটির হিসাবরক্ষক দক্ষিণ সুরমা বারখলা এলাকার বাসিন্দা রিপন দাশ (২৭)।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২৮ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে প্রতিদিনের মতো সাফাত উল্লাহ ফিলিং স্টেশনের দ্বিতীয় তলায় ব্যবসার ১৬ লাখ টাকা ও ১টি মুঠোফোন সিন্দুকে রেখে যান স্বত্বাধিকারী কামরান উদ্দিন। পরদিন সকালে গিয়ে তিনি জানালার গ্রিল কাটা এবং সিন্দুকের তালা ভাঙা দেখতে পান। তখন তিনি খোঁজ নিয়ে দেখেন নগদ ১৬ লাখ টাকা, মুঠোফোন, চেক বইসহ প্রতিষ্ঠানের জরুরী কিছু কাগজপত্র খোয়া গেছে। এই ঘটনায় পরবর্তীতে কামরান উদ্দিন বাদী হয়ে ২ জানুয়ারি এসএমপির জালালাবাদ থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই ২ জানুয়ারি রাতে সন্দেহভাজন হিসেবে ঝাড়ু মিয়াকে আটক করে জালালাবাদ থানা পুলিশ। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৩ জানুয়ারি ফিলিং স্টেশনটির হিসাবরক্ষক রিপনকে কর্মস্থল থেকে আটক করা হয়। গ্রেফতারের পর চুরির মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ৪ জানুয়ারি ফিলিং স্টেশনের হিসাবরক্ষক রিপন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন এবং চুরির ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন। পাশাপাশি সে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরও দুজনের তথ্যও দেয়। তার দেওয়া জবানবন্দিতে পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে কেফায়েত হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। ঝাড়ু মিয়ার কাছ থেকে চুরির প্রায় সাড়ে ৩ লাখ উদ্ধার করা গেলেও বাকি টাকা উদ্ধার করা এখনো সম্ভব হয়নি।
আটক ঝাড়ু মিয়া সিলেটের চিহ্নিত চোর চক্রের সদস্য। তার বিরুদ্ধে সিলেটের কোতোয়ালি থানায় দুটি মামলা রয়েছে। সেই সঙ্গে কেফায়েত হোসেনের বিরুদ্ধেও চুরির একাধিক মামলা আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার সন্ধ্যায় দৈনিক জালালাবাদকে এর সত্যতা নিশ্চিত করে এসএমপির জালালাবাদ থানার ওসি হারুনুর রশীদ বলেন, তেমুখী ফিলিং স্টেশনে ১৬ লাখ টাকা চুরির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া চুরির সাথে আরো ২ জনের নাম পাওয়া গেছে। পুলিশ তাদের গ্রেফতারে তৎপর রয়েছে।