ওসমানীনগরে ইয়াবাসহ গ্রেফতার ২
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১৯:৫৭ অপরাহ্ন
ওসমানীনগর প্রতিনিধি: ওসমানীনগরের তাজপুরে ইয়াবাসহ রাজন (৪১) ও রফিকুল ইসলাম (৩৫) নামের ২ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করলে ৩ ঘন্টা সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে তাজপুর ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা। ধৃত রাজন সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার শাহারপাড়া গ্রামের মৃত ফজলুল করিমের ছেলে ও ওসমানীনগরের দুলিয়ারবন্দ এলাকার বাসিন্দা। অপর ধৃত রফিকুল ইসলাম ওসমানীনগর উপজেলার দুলিয়ারবন্দ এলাকার আব্দুল মন্নানের ছেলে ও তাজপুর ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার তাজপুর বাজারে। মঙ্গলবার এ ঘটনায় ধৃত রাজন ও রফিকুল এর নামে ওসমানীনগর থানায় একটি মাদক মামলা দায়ের করে তাদের সিলেট কোর্টে চালান করা হয়েছে। এদিকে, ট্রাক শ্রমিক রফিকুল গ্রেফতারের পর শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মহাসড়কে যান চলাচলের উপযোগী করে দেন।
জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার দুলিয়ারবন্দ নামক স্থানে রাজনের বাসা থেকে ১৯পিস ইয়াবাসহ রাজন ও তাজপুর ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সদস্য রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে ওসমানীনগর থানা পুলিশ। এরপর তাজপুর ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ রফিককে ছাড়িয়ে আনার চেষ্টা করেন। পুলিশ তাকে না ছাড়লে সোয়া ৮টার দিকে শ্রমিকরা তাজপুর বাজারে ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসের সামনে সিলেট ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে। এসময় মহাসড়কের দুপাশে শত শত দূরপাল্লার যান আটকা পড়ে দীর্ঘ সারি তৈরি হয়। সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হন দূরদূরান্তের হাজার হাজার যাত্রী সাধারণ। খবর পেয়ে সোয়া ১১টার দিকে ওসমানীনগরে অবস্থানরত সেনাবাহিনীর সদস্য ও ওসমানীনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে অবরোধকারী শ্রমিকরা পালিয়ে যান। এরপর প্রায় পৌণে ১ঘন্টা সময় চেষ্টা চালিয়ে সেনা ও পুলিশ সদস্যরা মহাসড়কের যানজট নিয়ন্ত্রনে আনেন।
রফিকুলের ভাই বাবুল বলেন, প্রতিবেশির বাসায় রোগী দেখতে গেলে পুলিশ আমার ভাইকে গ্রেফতার করে, সে মাদকের সাথে জড়িত নয়। তাজপুর ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা সুহেল মিয়া বলেন, পুলিশ এক ইয়াবাখোরকে গ্রেফতার করে। এসময় ট্রাক শ্রমিক রফিক রোগী দেখতে ওখানে ছিল, তখন পুলিশ তাকেও গ্রেফতার করে। তাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে আমরা সড়ক অবরোধ করি।
ওসমানীনগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোনায়েম মিয়া বলেন, মাদকসহ দুইজনকে গ্রেফতার করে কোর্টে চালান করা হয়েছে। শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধ করলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গেলে তারা পালিয়ে যায়।