জুলাই-আগস্টে মানবাধিকার লঙ্ঘন: জাতিসংঘের প্রতিবেদন ফেব্রুয়ারিতে
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৯:৪৪:৪৮ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট : জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান দলের প্রতিবেদন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে, যা মধ্য ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশ করা হবে।জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক এমন তথ্য জানিয়েছেন। স্থানীয় সময় বুধবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে মুহাম্মদ ইউনূস ও ভলকার টুর্কের মধ্যে বৈঠক হয়। পরে প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এই তথ্য জানান।ভলকার টুর্ক বলেছেন, জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় থেকে তথ্যনুসন্ধান দলের প্রতিবেদনটির প্রকাশনা সামনে রেখে সেটি বাংলাদেশকেও দেওয়া (শেয়ার) হবে।
শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংগঠিত অপরাধের তদন্ত করায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। অন্তর্বর্তী সরকার সরকার গঠিত ছয়টি স্বাধীন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন একই সময়ে প্রকাশিত হবে বলে জানান তিনি। তাঁদের পর্যবেক্ষণ, এসব প্রতিবেদন একটি অন্যটির পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে।
বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে সহায়তার জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্কের কাছে আহ্বান জানান মুহাম্মদ ইউনূস।এ ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ সহায়তার আশ্বাস দেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার। ভলকার টুর্ক বলেন, তিনি এ বিষয়ে মিয়ানমারে জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত জুলি বিশপসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে কথা বলবেন।সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবি থেকে সরকার পতন আন্দোলন এবং পরবর্তী সময়ে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্তের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের আমন্ত্রণে বাংলাদেশে কাজ করে জাতিসংঘের তথ্য অনুসন্ধানী মিশন। গত বছরের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে তারা।
অভিযোগের সত্যতা উদ্ঘাটন, দায়দায়িত্ব চিহ্নিতকরণ, মানবাধিকার লঙ্ঘনের মূল কারণ বিশ্লেষণের পাশাপাশি এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে সুপারিশ করবে তথ্য অনুসন্ধান দল (ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন)।