বড়লেখা পৌরমার্কেট সংলগ্ন অবৈধ পোল্ট্রি দোকান, দুর্গন্ধে অতিষ্ট ক্রেতা সাধারণ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ৫:৪০:২৮ অপরাহ্ন
বড়লেখা প্রতিনিধি: বড়লেখা পৌর সুপার মার্কেটের প্রবেশ রাস্তার ফুটপাত দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ পোল্ট্রির দোকানগুলো মার্কেট ও রাস্তার বিপরীত দিকের মার্কেটের ব্যবসায়ী, পথচারি ও ক্রেতা সাধারণের গলার কাটায় পরিণত হয়েছে। হাঁস-মোরগসহ পশুপাখির বিস্টা ও আবর্জনার দুর্গন্ধে নষ্ট হচ্ছে আশপাশের পরিবেশ। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগিরা প্রায় ৩ মাস ধরে পৌর প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরে আবেদন নিবেদন করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না।
ভুক্তভোগি ব্যবসায়ীদের লিখিত অভিযোগ ও সরেজমিনে জানা গেছে, পৌরশহরের প্রাণকেন্দ্রের আঞ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন পৌরসুপার মার্কেটে লাখ লাখ টাকা জামানত দিয়ে দোকানঘরের পজিশন নিয়েছেন অনেক ব্যবসায়ী। পজিশনমানি ছাড়াও ব্যবসায়ীরা প্রতি মাসে ৫ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পৌরসভাকে ভাড়া পরিশোধ করছেন। কিন্তু মার্কেটের প্রবেশ রাস্তার ফুটপাত দখল করে কতিপয় ব্যবসায়ী হাঁস-মোরগ ও পশু পাখির খোলা দোকান দিয়েছেন। এসব হাঁস-মোরগের বিস্টা, জবাইর রক্ত আর উচ্ছিষ্ট আবর্জনার দুর্গন্ধে ব্যবসায়ীসহ রাস্তা দিয়ে চলাচলকারি জনসাধারণ মারাত্মক ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। এলাকার পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। দুর্গন্ধের কারণে ক্রেতারা পৌরসুপার মার্কেটমুখি হন না। এতে ব্যবসায়ীরা লোকসানে পড়েছেন।
পৌরসুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন, সিলেট ফ্যাশন, মা বাবা ট্রেডার্স, সিলেট পেইন্ট, পাল মিষ্টিঘর, ভাইভাই ট্রেডার্স, সুপারি ঘর, ভোজন বিলাশ, মানিক জুয়েলার্সসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভুক্তভোগি স্বত্তাধিকারীগণ জানান, অনেক ব্যবসায়ী ১৫ থেকে ৩২ লাখ টাকা সিকিউরিটি জমা ও প্রতিমাসে ৫ থেকে ১৫ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে পৌরসুপার মার্কেটের দোকানঘর নিয়েছেন। মার্কেটের প্রবেশপথই যদি মারাত্মক দুর্গন্ধময় থাকে তবে লোকজন মার্কেটে আসবে কিভাবে। কয়েকটি পোল্ট্রির দোকানের ময়লা-আবর্জনার কারণে পরিবেশ বিনষ্ট হওয়ায় পুরো মার্কেটই প্রায় ক্রেতা শূন্য থাকে। এতে তারা মারাত্মক ক্ষতির সস্মুখিন। গত ১০ অক্টোবর পৌরসভার প্রশাসক ও পরবর্তীতে ১৪ জানুয়ারী পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। কিন্তু এখনও কোনো প্রতিকার পাননি।
পরিবেশ অধিদপ্তর মৌলভীবাজারের সহকারি পরিচালক মাহিদুল ইসলাম শুক্রবার বিকেলে জানান, ভুক্তভোগি ব্যবসায়ীদের অভিযোগটি তদন্তের জন্য পরিবেশ ইন্সপেক্টরকে দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দেওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী আনোয়ার সাদাত হোসেন ভুঁইয়া জানান, পৌরপ্রশাসক ছুটিতে রয়েছেন। আগামি ১ ফেব্রুয়ারি কর্মস্থলে যোগদান করবেন। এরপর সরেজমিনে পরিদর্শন করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।