মাঘে শীতের পরশ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ৮:৫৫:১৬ অপরাহ্ন
সিলেটে ১৪ ডিগ্রী, শ্রীমঙ্গলে ১১.৫
স্টাফ রিপোর্টার: সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শীতের প্রকোপ শুরু হয়েছে। আগের দিনের মতো শুক্রবারও ঘন কুয়াশা ছিল। সাথে ছিলো হিমেল হাওয়া। দুই জেলায় বয়ে যায় শৈত্যপ্রবাহ। দুটি জেলাই উত্তরবঙ্গের। শীতের তীব্রতা উত্তরের জনপদেই বেশি। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ শনিবার তাপমাত্রা মোটামুটি গতকালের মতোই থাকতে পারে। তবে আগামীকাল রোববার থেকে তা আরও কমবে। এমন অবস্থা থাকতে পারে মঙ্গলবার পর্যন্ত। তারপর অবশ্য তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বার্তায় বলা হয়েছে, শুক্রবার সিলেট সিটিতে সবনি¤œ তাপমাত্রা ছিলো ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আর মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ছিলো ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িতে, ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এক দিনের ব্যবধানে সেখানে প্রায় ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা।
এই অবস্থা কয় দিন চলতে পারে-এমন প্রশ্নে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা বলেন, আজ রোববার দেশের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে কাল রোববার থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। এ অবস্থা চলতে পারে মঙ্গলবার পর্যন্ত। তবে এরপর তাপমাত্রা আবার বাড়তে পারে। গতকাল দেশের যে দুই জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়, সেগুলো হলো সিরাজগঞ্জ ও পঞ্চগড়। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ দফায় কী তীব্র শৈত্যপ্রবাহের কোনো সম্ভাবনা আছে? আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা বলেন, সেই সম্ভাবনা কম। চলতি মাসে একবারই মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। শীতের তীব্রতা এখন পর্যন্ত অপেক্ষাকৃত কম। গত ডিসেম্বর মাসেও তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে শূন্য দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। এ দফায় যে শীত পড়তে শুরু করে, তা কী এ মৌসুমের শীতের শেষ স্পর্শ? এর উত্তরে আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলেন, দেখা গেছে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহেও অনেক সময় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে একবার শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ২ দশমিক ৮ এর মতো ছিল। তাই নিশ্চিত করে বলা যায় না এবারই শীতের স্পর্শ শেষ।