শিশির মনিরের চেষ্টায় বিদ্যুতের আলো পাচ্ছেন পাঁচ গ্রামের মানুষ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ৮:৩৫:৪৯ অপরাহ্ন
শাল্লা প্রতিনিধি: সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনিরের প্রচেষ্টায় অবশেষে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়ে উঠছে শাল্লার পাঁচটি গ্রাম। এ লক্ষ্যে রোববার প্রায় দশলাখ টাকা পরিশোধও করা হয়েছে। বছরের পর বছর ধরে অন্ধকারে থাকার পর এবার ওই পাঁচ গ্রামের মানুষের মাঝে আশার সঞ্চার হয়েছে।
জানা যায়, ভাটির জনপদ সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। কিন্তু পাঁচ বছরের মধ্যেই মুখ থুবড়ে পড়ে প্রকল্পটি। ২০২২ সালের বন্যায় প্রকল্পের বিদ্যুৎ সরবরাহের খুঁটিসহ অনেক কিছুই ভেসে গিয়ে বিনষ্ট হয়ে যায়। এরপর ওই প্রকল্প আর মানুষের কোন কাজে লাগেনি। বিদ্যুৎ সরবরাহ একেবারে বন্ধ হয়ে পড়লে শাল্লার শ্বাসখাই গ্রাম, শ্বাসখাই বাজার, দত্তপাড়া, মৌরাপুর ও আগোয়াই গ্রামে আলোকিত হওয়ার বদলে অন্ধকার নেমে আসে। কিন্তু সৌরবিদ্যুতের বকেয়া বিল পরিশোধ না করতে পারায় নতুন করে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগও নিতে পারছিলেন না গ্রামবাসী।
এ অবস্থায় বেকায়দায় পড়েছেন হবিবপুর ইউনিয়নের শ্বাসখাই, দত্তপাড়া, মৌরাপুর ও আগোয়াই গ্রামের ৫০০ পরিবারের ৪ হাজারেরও বেশি মানুষ। তিন বছরের বেশি সময় ধরে তারা বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছেন।
এদিকে, প্রত্যন্ত এলাকার লোকজনের বিদ্যুৎ সমস্যা দূর করতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির এগিয়ে আসেন। তিনি সরেজমিনে ওই এলাকায় ছুটে যান। শিশির মনির সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসকসহ বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজনের সাথে কথা বলেন। তারা দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহের আশ্বাস দেন। তবে এজন্য বকেয়া বিল পরিশোধ করতে বলেন।
অবশেষে রোববার দুপুরে দিরাই অগ্রণী ব্যাংকে বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের টাকা পরিশোধ করা হয়। সৌর বিদ্যুতের ৮ লক্ষ টাকা বকেয়া বিল পরিশোধের করে দেন আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির। এতে নতুন করে বিদ্যুৎ সংযোগের স্বপ্ন দেখছে পাঁচ গ্রামের মানুষ।
হবিবপুর ইউনিয়নে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্রাহকরা জানান, তাদের অনেকে সৌরবিদ্যুৎ ছেড়ে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ পেতে যোগাযোগ করেন। কিন্তু বকেয়া থাকায় পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষও তাদের ফিরিয়ে দেয়। এর পর ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর ৪০০ গ্রামবাসীর স্বাক্ষরসহ জেলা প্রশাসকের কাছে বিদ্যুৎ পেতে আবেদন করেন।