ওসমানীসহ ৩ বিমানবন্দরের ৮১২ কোটি টাকা আত্মসাত
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ৯:৫৫:৫২ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট : সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উন্নয়ন প্রকল্পের ৮১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। শুধু ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ প্রকল্প থেকে ২১২ কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন তারা। এসব আত্মসাতের ঘটনায় ৪টি মামলা করেছে দুদক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ২ হাজার কোটি টাকার নতুন টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের কাজ না করে অগ্রিম বিল হিসেবে ২১২ কোটি টাকা ছাড় করার অভিযোগে তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেছেন দুদকের সহকারী পরিচালক এ কে এম মর্তুজা আলী সাগর।
মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. মুহিবুল হক, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব জনেন্দ্রনাথ সরকার, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সাবেক চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান, বেবিচকের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল মালেক, সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মোঃ হাবিবুর রহমান।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, তারিক সিদ্দিকি তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী অ্যারোনেস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবুল আনাম, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. মুহিবুল হক ও জনেন্দ্রনাথ সরকারকে প্রভাবিত করে এ প্রকল্প হাতে নেন। তারা আর্থিকভাবে লাভ হতে জি টু জি ভিত্তিতে ফ্রেঞ্চ কোম্পানি থালেস এলএএসকে এ কাজ দেন। এই সঙ্গে অ্যারোনেস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডকে সহযোগী বানিয়ে কাজের সঙ্গে যুক্ত করা হয়
দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে, এ প্রকল্পে ক্রয় প্রক্রিয়ার বিদ্যমান বিধান লঙ্ঘন করে প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি এবং নিজেদের পছন্দের ঠিকাদারকে কার্যাদেশ প্রদান করে বেআইনীভাবে স্থানীয় এজেন্ট অ্যারোনেস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডকে সম্পৃক্ত করে পরস্পর যোগসাজশে এ প্রকল্প হতে প্রায় ২০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এ মামলায় তারিক সিদ্দিকসহ মোট ১০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রচলিত বিধি-বিধান লংঘন করে ১৩ হাজার কোটি টাকার প্রাক্কলন প্রকল্পে অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করে ২১ হাজার কোটি টাকার কার্যাদেশ দেওয়া হয়। এ প্রকল্প হতে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ পরস্পর যোগসাজশে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা আত্মসাত ও লুটপাট করেন। এ মামলায় তারিক সিদ্দিকসহ ১০ জনকে আসামী করা হয়।