জকিগঞ্জে হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক!
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ৬:০৮:২৮ অপরাহ্ন
জকিগঞ্জ প্রতিনিধি :
জকিগঞ্জ হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক। প্রায়ই প্রকাশ্যে মাদক বেচাকেনা করতে দেখা যায় বিভিন্ন এলাকায় ও হাটবাজারে। পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখার পরও সীমান্ত উপজেলায় মাদক ব্যবসা মহামারি আকার ধারণ করেছে। এতে নতুন প্রজন্মও মাদকের দিকে ঝুঁকছে।
সচেতন মহল মনে করেন, জকিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় যে হারে মাদক ব্যবসার বিস্তার ঘটেছে সেটা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষে সহজে লাগাম টেনে ধরা কঠিন হয়ে পড়েছে। প্রায়ই পুলিশের অভিযানে চালানসহ মাদক বহনকারীরা ধরা পড়লেও মাদকের রাঘববোয়ালরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যান। সূত্র জানায়, দেশের পটপরিবর্তনের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অনেকটা নিস্ক্রিয় ছিলো। সেই সুযোগে পুরনো মাদক ব্যবসায়ীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। নতুন-পুরনো মাদক ব্যবসায়ীরা জোটবদ্ধভাবে নিত্যনতুন কৌশলে জকিগঞ্জ থেকে মাদকের বড়সড় চালান পাঠাচ্ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। মাঝে মধ্যে দু’ একটা চালান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়লেও বেশিরভাগ চালান অধরা থেকে যায়। মাদক বহনে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নআয়ের সহজ সরল প্রকৃতির মানুষজনকে। ফলে মাদকের চালান ধরা পড়লে গডফাদাররা অধরা থাকে।
সম্প্রতি জকিগঞ্জ সদর ইউপির ছবড়িয়া গ্রামে দেখা গেছে খোলা আকাশের নিচে একজন প্রকাশ্যে মাদক সেবন করছে। খবর নিয়ে জানা যায়, ওই ব্যক্তি ছবড়িয়া গ্রামের মৃত ফজলু মিয়ার ছেলে জীবান আহমদ সেতু। গ্রামের একাধিকজন জানান, জীবান আহমদ সেতুসহ একটি চক্র প্রকাশ্যে মাদক বেচাকেনা এবং মাদক সেবন করে। তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলা ও মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়াসহ নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়। হয়রানির ভয়ে গ্রামের অনেকেই মুখ খুলতে সাহস পাননা। ওই চক্রটির বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসাসহ চুরির অভিযোগও রয়েছে। এলাকাবাসী ওই চক্রটিসহ উপজেলার মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।