ওসমানীসহ ৩ বিমানবন্দরের ৮১২ কোটি আত্মসাত : তারিক সিদ্দিকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২৪ এপ্রিল
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ৮:২২:২০ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট : সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের তিনটি বিমানবন্দরের উন্নয়ন প্রকল্পে ৮১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে চার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে আগামী ২৪ এপ্রিল দিন ঠিক করেছে আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এই দিন ঠিক করে দেন।
দুদকের প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, গত সোমবার তাদের বিরুদ্ধে পৃথক চারটি মামলা করে দুদক। এসব মামলার এজহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৪ এপ্রিল দিন ঠিক করেন আদালত।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ প্রকল্প থেকে ২১২ কোটি টাকা এবং কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল নির্মাণ ও রানওয়ে উন্নয়ন প্রকল্প থেকে ১৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়।
এজাহারে বলা হয়, ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যোগাযোগ, নেভিগেশন ও নজরদারি ব্যবস্থাপনা ও রেডার স্থাপন প্রকল্পে প্রায় ২০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে। এছাড়া একই বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ (তৃতীয় টার্মিনাল) প্রকল্প থেকে আত্মসাৎ হয়েছে ২৫০ কোটি টাকা।
এই চার মামলার তিনটিতে ১০ জন করে এবং একটি ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে। এসব তালিকায় নাম এসেছে ১৯ জনের। তারিকসহ কয়েকজনের নামে আছে সব মামলাতেই।
আসামির তালিকায় আছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব মুহিবুল হক, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সাবেক চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব জনেন্দ্রনাথ সরকার, বেবিচকের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মালেক ও সুপারিনটেনডেন্ট হাবিবুর রহমান।
আসামি করা হয়েছে অ্যারোনেস ইন্টারন্যাশনালের মালিক লুৎফুল্লাহ মাজেদ, এমডি মাহবুব আনাম, প্রকল্প পরিচালক এ কে এম মাকসুদুল ইসলাম ও সাবেক প্রধান প্রকৌশলী সুধেন্দু বিকাশ গোস্বামীকেও।
সিএনএস মেইনটেনেন্স বিভাগের পরিচালক আফরোজা নাসরিন সুলতানা ও পরিচালক (পরিকল্পনা) এ কে এম মনজুর আহমেদকেও আসামি করা হয়েছে মামলায়।
আসামি করা হয়েছে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপসচিব শফিকুল ইসলাম ও কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক ইউনুস ভূইয়াকে।
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ প্রকল্পের পরিচালক মইদুর রহমান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপসচিব শাহ জুলফিকার হায়দার (বর্তমানে উপসচিব, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়) এবং সাবেক যুগ্মসচিব আনিছুর রহমানকেও (বর্তমানে অতিরিক্ত সচিব) আসামি করা হয়েছে। আসামির তালিকায় আছেন বেবিচকের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল হাসিব ও শরিফুল ইসলামও।