দ্বীন কায়েমই আমাদের একমাত্র জীবনোদ্দেশ্য : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ৬:০৮:১১ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, বিশ^মানবতার ধর্ম হচ্ছে ইসলাম। মানবতার মুক্তিসনদ মহাগ্রন্থ আল কুরআন ও বিশ^নবী (সাঃ) এর হাদীস অনুসরণের মধ্যে মানবতার মুক্তি ও কল্যাণ নিহিত। যুগে যুগে প্রমাণিত হয়েছে ইসলাম ছাড়া সামাজিক সুবিচার ও স্বাধীনতা অন্যকিছু দিতে পারবেনা। দ্বীন কায়েমই আমাদের একমাত্র জীবনোদ্দেশ্য। তাই দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে রুকনদেরকে অগ্রণী ভুমিকা পালন করতে হবে। মনে রাখতে হবে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে মানবতার কল্যাণ সাধন করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। প্রমাণিত হয়েছে জুলুম-নিপীড়ন, হামলা-মামলা, ফাঁসির রশি আমাদের কাংখিত লক্ষ্যপুরণ থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি, পারবেও না কোনদিন।
তিনি শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) সকালে নগরীর মিরাবাজার এলাকায় সিলেট মহানগর জামায়াতের বার্ষিক রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে, মহানগর সেক্রেটারী মোহাম্মদ শাহজাহান আলীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আরো বলেন, জামায়াতের রুকনদেরকে ঋণমুক্ত হওয়া, সদকায়ে জারিয়া, রক্ত সম্পর্ক ছিন্ন না করা, ক্ষমা করা ও হক আদায় করার উপর গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদেরকে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত ঈমানের ওপর অবিচল থেকে দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে গতিশীল ও বেগবান করতে হবে। ফ্যাসিস্ট শক্তির পতন ঘটাতে যে স্বপ্ন নিয়ে আমাদের ছাত্র সমাজ বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে সেই বৈষম্যহীন সমাজ ও বেকারত্বহীন দেশ গঠনে অগ্রণী ভুমিকা পালন করতে হবে।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর নায়েবে আমীর ড. নুরুল ইসলাম বাবুল, সিলেট জেলা দক্ষিণের সাবেক নায়েবে আমীর বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান, সিলেট মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী এডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুর রব, জাহেদুর রহমান চৌধুরী ও মাওলানা ইসলাম উদ্দিন প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, জামায়াত বাংলাদেশকে একটি ইনসাফভিত্তিক ও কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীতে জামায়াতের প্রতি মানুষের আগ্রহ ও ভালোবাসা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই ভালবাসার আলোকে দেশপ্রেমিক জনতাকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। সমাজ পরিবর্তনের আগে নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে। পরিবার পরিজনকে ইসলামের আলোকে আদর্শবান সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তাহলে দেশ জাতি ও সমাজ উপকৃত হবে।
তিনি বলেন, আমাদের উপর সীমাহিন জুলুম নিপীড়ন চালানো হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আমাদেরকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু আমরা আল্লাহর উপর ভরসা করেই দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে কাজ করছি। তাই আল্লাহ পাক আমাদেরকে কাজের সুযোগ করে দিয়েছেন। সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে জামায়াতের রুকনদেরকে অতন্দ্র প্রহরীর ভুমিকা পালন করতে হবে। পতিত ফ্যাসিস্টদের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে দেশপ্রেমিক জনতাকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সম্মেলনে সিলেট মহানগরীর সকল রুকন উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি