জুড়ীতে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারি এখনও অধরা
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ৭:২০:২৪ অপরাহ্ন
বড়লেখা প্রতিনিধি: জুড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উপর হামলার সম্মুখ সারির আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এখনও গ্রেফতার হয়নি। জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের হামলার অন্যতম নেতৃত্ব ও অস্ত্র সরবরাহকারি পশ্চিম জুড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আনফর আলী নভেম্বরে কয়েকদিন অফিস করলেও পুলিশ তাকে খোঁজে পায়নি।
১৬ জুলাই শিক্ষার্থীদের জুড়ী সদরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি চলাকালে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দেশিয় অস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়। জুড়ীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্র-জনতা হত্যার প্রতিবাদে ৩ ও ৪ আগস্ট প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল বের করলে উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য-প্রযুক্তি সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনি, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাস, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদ জুয়েল রানা, আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আনফর আলী, ওবায়দুল ইসলাম রুয়েল, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হুমায়ুন রশীদ রাজি, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন সাবেল, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ভূইয়া উজ্জ্বল, কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি আদনান আশফাক, সাবেক সভাপতি এআর সাজেদ, জায়ফরনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম, জেবলু মিয়া প্রমুখের নেতৃত্বে পুলিশ প্রহরায় ছাত্রদের উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডারদের হামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৩ জন শিক্ষার্থী আহত হন।
এদিকে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নির্বিচারে হামলার ঘটনায় ২৬ আগস্ট সমন্বয়ক মো. তারেক মিয়া আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৬৩ জনের নাম উল্লেখ ও ১০০ থেকে ১২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে জুড়ী থানায় মামলা করেন। মামলা দায়েরের পাঁচমাসেও পুলিশ হামলার নেতৃত্বদানকারি তেমন কাউকে গ্রেফতার করেনি। প্রথম দিকে আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও গত ২ মাস ধরে অনেকে আত্মগোপন করেছে।
জুড়ী থানার ওসি মো, মোরশেদুল আলম ভুঁইয়া জানান, ইতিমধ্যে কয়েকজন আসামিকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছেন। অনেকে জামিন নিয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান। মামলার ৪ নং আসামি আওয়ামী লীগ নেতা ও পশ্চিম জুড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আনফর আলী নভেম্বর মাসে অফিস করার বিষয়টি জানেন না। খবর পেলে পুলিশ অবশ্য তাকে গ্রেফতার করতো।