ছাতকের ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত অর্ধশত
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬:৩৪:১৯ অপরাহ্ন
ছাতক প্রতিনিধি: ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্ট এলাকায় দু’গ্রামবাসীর সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত লোক আহত হয়েছেন। আহতদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি। সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে আহতদের ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্ট সংলগ্ন এলাকায় দিঘলী গ্রামের মাঠ থেকে এ সংঘর্ষের সুত্রপাত ঘটে এবং রাত ৯ টা পর্যন্ত গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্ট জুড়ে এ সংঘর্ষ চলে। এ সময় বাস, সিএনজি, লাইটেস সহ ৮/১০ টি গাড়ি ভাংচুর করে সংঘর্ষকারীরা। সড়কে যান চলাচল দীর্ঘসময় ধরে বন্ধ হয়ে যায়। ভাংচুরকৃত গাড়িগুলো এখনো সড়কের পাশে পড়ে রয়েছে। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ছৈলা-আফজালাবাদ ইউনিয়নের দিঘলী চাকলপাড়া ও গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাও ইউনিয়নের দিঘলী রামপুর গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সুত্র আরো জানায়, দিঘলী রামপুর গ্রামের শাহজালাল একাদশ আয়োজিত মধ্যমবার ফুটবল প্রতিযোগিতা মাঠে চলছিল। বিকেলে ‘রুমা এফসি দিঘলী মাঝপাড়া ও দিঘলী চাকলপাড়া’ বনাম ‘মিম এফসি চরবাউকা, দিঘলী রামপুরের’ মাঝে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় মিম এফসি হেরে গেলে কমিটির পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ উঠে। এ সময় খেলার দর্শকদের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। রামপুর ও চাকল পাড়া গ্রামের দর্শকরা দু’দলের পক্ষে অবস্থান নিয়ে মাঠে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। মিম এফসি’র মহিবুর রহমান তারেক ও দুলাল এবং রুমা এফসি’র রইছ আলীর মধ্যে প্রথমে মারামারি শুরু হয় বলে একাধিক সুত্র জানায়।
পরে সংঘর্ষ গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্ট এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২০জন সহ পথচারী, গাড়িচালক যাত্রী মিলে অর্ধশত লোক আহত হয়েছেন। সংঘর্ষকারীদের ছোঁড়া ইটপাটকেলে এসব লোকজন আহত হয়েছেন।
ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে এলাকায় ব্যাপক আতংক ছড়িয়ে পড়ে। সিলেট-সুনামগঞ্জ সংঘর্ষকারীদের ইটপাটকেল ছোড়াছুড়িতে রণক্ষেত্রে পরিণত গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্ট এলাকা। বার বার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সড়কে প্রায় আধঘন্টা যান চলাচল বন্ধ ছিলো। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করেছে।
ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম কিবরিয়া হাসান জানান, ফুটবল খেলা নিয়ে মাঠে সংঘর্ষ হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত। গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টসহ এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।