সিলেট-১২ নম্বর কূপ খনন প্রকল্প একনেকে অনুমোদন
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৮:২২:৪৬ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: সিলেট-১২ নম্বর কূপ খনন প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি সফল হলে দেশীয় উৎস থেকে তেল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, যা দেশের জ্বালানি চাহিদার আংশিক মেটাতে সহায়ক হবে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এটি সহ ১৩ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। যা বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ হাজার ৫৩২ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারের অর্থায়ন (জিওবি) থাকছে ৪ হাজার ৯৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। প্রকল্পে ঋণ সহায়তা থাকছে ৭ হাজার ৩২৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে এক হাজার ১০৬ কোটি ১০ লাখ টাকা খরচ করা হবে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন ও শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমানসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে সিলেট-তামাবিল রোডে গোয়াইনঘাট উপজেলার আলীরগাঁও ইউনিয়নে ১০ নম্বর কূপ খননের সময় গ্যাসের পাশাপাশি তেলের সন্ধান পাওয়া যায়। তখন বিশেষজ্ঞরা বলেন এই ১০ নম্বর কূপে প্রতি ঘণ্টায় ৩৫ ব্যারেল তেলের প্রবাহ পাওয়া গেছে। যা থেকে প্রতিদিন প্রায় ৮০০ ব্যারেল তেল উৎপাদিত হবে। ঐ এলাকায় প্রায় ১৫-২০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল মজুত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কূপ খনন বিশেষজ্ঞদের মতে, এসজিএফএলের ১০ নম্বর কূপের দেড় হাজার মিটার নিচের স্তরে মিলেছে ক্রুড বা অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুত। বাকি সব স্তর শুধু গ্যাসের। ড্রিল স্টিম টেস্ট বা ডিএসটি চলাকালে কূপটিতে ঘণ্টায় ৩৫ ব্যারেল তেলের প্রবাহ নিশ্চিত হওয়া গেছে।
অনুমোদন দেওয়া অন্যান্য প্রকল্পগুলো হলো- চট্টগ্রাম মহানগরীর উত্তর কাট্টলী ক্যাচমেন্ট প্রকল্প। মোংলা বন্দরের সুবিধাদিও সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রকল্প। ধান, গম ও ভুট্টার উন্নততর বীজ উৎপাদন এবং উন্নয়ন প্রকল্প। বিএডিসির বিদ্যমান বীজ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিতরণ ব্যবস্থাদির আধুনিকীকরণ এবং উন্নয়ন প্রকল্প। ফুড সেফটি টেস্টিং ক্যাপাসিটি ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট। তিতাস ও কামতা ফিল্ডে ৪টি মূল্যায়ন-কাম-উন্নয়ন কূপ খনন প্রকল্প। হবিগঞ্জ, বাখরাবাদ ও মেঘনা ফিল্ডে ৩-ডি সাইসমিক জরিপ প্রকল্প। বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন, চট্টগ্রাম জোন প্রকল্প। স্ট্রেরেন্থড সার্ভিস ডেলিভারি সিস্টেমস ফর ইমপ্রুভড মাইগ্রেশন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবল রেইনট্রিগ্রাশন প্রকল্প। ঢাকা মহানগরী ও পূর্বাচলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ দৃষ্টিনন্দন করা প্রকল্প। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন প্রকল্প।
এছাড়া মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেটি হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোারেশনের কঠিন বর্জ্য সংগ্রহ এবং অপসারণ ব্যবস্থাপনা (দ্বিতীয় সংশোধিত) চতুর্থবার মেয়াদ বৃদ্ধি প্রজেক্ট।
একনেকে অবগতির জন্য উপস্থাপন করা চারটি প্রকল্প হচ্ছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সক্ষমতা জোরদারকরণ প্রকল্প। অ্যাকুয়েট ইকোসিস্টেম কনজারভেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ইন দ্যা নর্থ ইস্ট অ্যান্ড সাউথ ওয়েস্ট রিজনইফ বাংলাদেশ ইউএসআইডি ইকোসিস্টেম প্রকল্প। চর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট প্রজেক্ট ব্রিজিং (ডিডিএসপি-বি) প্রজেক্ট এবং পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রী কারাগারের ইতিহাস, ঐতিহাসিক ভবন সংরক্ষণ ও পারিপার্শ্বিক উন্নয়ন প্রকল্প।