গোয়াইনঘাটে উন্নয়ন কাজে চাঁদা দাবির অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬:৫৭:৩৩ অপরাহ্ন
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি: সিলেটের গোয়াইনঘাটে ৭২ লক্ষ টাকার সরকারি উন্নয়ন কাজে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে সরকারি উন্নয়ন কাজ বাধাগ্রস্ত করছে একটি চাঁদাবাজ চক্র। তারা ঠিকাদারকে প্রাণে মারারও হুমকি দিচ্ছে। হুমকি দিয়ে সরকারি জনস্বার্থমূলক উন্নয়ন কাজ বাধাগ্রস্ত করছে। এতে ঠিকাদার নিরুপায় হয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
রোববার ইউএনওসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দেওয়া লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গোয়াইনঘাট উপজেলার ডৌবাড়ী ইউনিয়নের এলজিইডি ‘কেন্দ্রা সাতকুড়ি কান্দি খাল খনন প্রকল্প’ সাতকুড়ি কান্দি মৌজা, জেএল নং-১৯৭, খতিয়ান নং-১, দাগ নং-১৪, শ্রেণী-নালাতে খাল খননের জন্য ৭২ লক্ষ ৪৪ হাজার ২১৮ টাকার কাজ পায় মেসার্স স্বপ্নীল এন্টারপ্রাইজের প্রোঃ আহমদ তানিম। তিনি গত ২ জানুয়ারি সকাল অনুমান ১১টার দিকে সরেজমিন এস্কেভেটর নিয়ে কাজ করতে গেলে ৫ লক্ষ টাকার চাঁদা দাবি করে স্থানীয় নিহাইন গ্রামের মৃত উসমানের পুত্র ইকবাল হোসেন (৪০)সহ একটি সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্র। ঠিকাদার চাঁদা দিতে অপারগতা জানালে ইকবাল হোসেন, মর্তুজ আলী, ওসমান আলী, আরিফ উদ্দিন, রমিজ উদ্দিন ও আব্দুল করিমসহ ১৪/১৫ জন চাঁদাবাজ চক্র ঠিকাদার এবং তার লোকদের উপর আক্রমণ চালায়। এ সময় তাদের শোর চিৎকারে পার্শ্ববর্তী সাতকুড়ি কান্দি গ্রামের লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করেন। বিষয়টি এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানানোর পরও কোন সুরাহা হয়নি। ঠিকাদার বারবার কাজের প্রস্তুতি নিলেও আর কাজ করতে পারেননি।
জানা গেছে, চাঁদাবাজ চক্রের সকলেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত এবং এলাকার পেশিশক্তির দাবিদার। এ বিষয়ে মেসার্স স্বপ্নীল এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর আহমদ তানিম জানান, আমি সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় ৩টি এস্কেভেটর এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক শ্রমিক নিয়ে কাজ করতে গেলে চাঁদাবাজ চক্র বলে ৫ লক্ষ টাকা না দিলে কোন কাজ করতে দেওয়া হবে না। আমাদেরকে মারপিট করে এবং কাজ করতে গেলে প্রাণে মারার হুমকি দেয়। আমি এ ব্যাপারে লিখিতভাবে ইউএনওসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: সাইদুল ইসলাম জানান, আমি সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। প্রকল্পের জায়গাটি সরকারি ভূমি। এ বিষয়ে ঠিকাদারকে কাজ বাস্তবায়নে প্রশাসনিক সহযোগিতা করা হবে।