সিলেটে একসঙ্গে ১৫ যুগলের বিয়ে
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬:১২:২৯ অপরাহ্ন
সিলেটে একসঙ্গে ১৫ যুগলকে বিয়ে দেয়া হয়েছে। এতিম, গরিব পরিবারের সন্তানদের মধ্যে যৌতুকবিহীন এই বিয়ের আয়োজন করে আল খায়ের ফাউন্ডেশন। সোমবার সিলেটের অভিজাত কনভেনশন হলে বিয়ের অনুষ্ঠানে আয়োজন করায় খুশি নবদম্পতি ও অভিভাবকরা।
বিয়ের জন্য মনোনীত পনেরো জুটি বর-কনের বাড়ি সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায়। আল খায়ের ফাউন্ডেশন নিজের খরচে তাদেরকে শান্তিগঞ্জ থেকে আমান উল্লা সেন্টারে নিয়ে আসে। বিয়ের সাজে মঞ্চে তোলা হয় বর-কনেকে। সেখানেই সম্পন্ন হয় তাদের বিয়ে। পরে তাদের হাতে তুলে দেয়া হয় নগদ অর্থসহ বিভিন্ন উপহারসামগ্রী। তার মধ্যে ছিলো সেলাইমেশিন, খাট, বিছানাবালিশ, তোষক, ভ্যানগাড়ি, গ্যাসের চুলাসহ ঘরের আসবাবপত্র। বর-কনে এবং তাদের পরিবারের লোকজন ছাড়া অন্তত পাঁচ শতাধিক মানুষ অংশ নেন বিয়ের আয়োজনে।
২০২৩ সাল থেকে এমন গণবিয়ের আয়োজন করে আসছে আল খায়ের ফাউন্ডেশন। সংস্থার কান্ট্রি ডিরেক্টর তারেক মাহমুদ সজীব বলেন, বিয়ের পাশাপাশি তাদেরকে স্বাবলম্বী করার চেষ্টা করেছি। আমরা চাই তারা ঘুরে দাঁড়াক। তারা ঘুরে না দাঁড়ালে সমাজ বদলাবেনা। কারণ তারাও সমাজের অংশ।
বিয়েতে অতিথি হয়ে আসেন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের যুগ্ম সচিব ও এনজিও বিষয়ক ব্যুরো’র ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুকান্ত সাহা, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক খন্দকার শিপার আহমদ, আল খায়ের ফাউন্ডেশনের প্রেজেন্টার মো. আব্দুল বাসিত, আমানউল্লাহl কনভেনশন সেন্টারের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর কুদরত উল্লাহ ফাহের, নাট্য ব্যক্তিত্ব আমিনুল ইসলাম বাবু, নিলাঞ্জন দাশ টুকু, সিলেট ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সভাপতি ফরিদ আহমেদ, আল হামরা শপিং সিটির ব্যবসায়ী সমিতির কোষাধ্যক্ষ ইর্শাদ আলী। উল্লেখ্য, ২০২৩ সাল থেকে সিলেট এবং রংপুরে অন্তত ২৫০ জনকে বিয়ে দিয়েছে আল খায়ের ফাউন্ডেশন। বিজ্ঞপ্তি