শ্রীমঙ্গলে বই সংকটে স্থবির পাঠদান কার্যক্রম
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৮:৪৪:২১ অপরাহ্ন
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি: নতুন শিক্ষাবর্ষের এক মাস পেরিয়ে গেলেও মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার মাধ্যমিক, প্রাইমারি স্কুল ও ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষার্থীদের হাতে এখন পর্যন্ত বেশীরভাগ বই পৌঁছাতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে পাঠদান কার্যক্রম।
উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বই না থাকার অজুহাতে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত উপস্থিত হচ্ছেন না ক্লাসে। শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকায় ক্লাস করাতে শিক্ষকদের মাঝে অনাগ্রহ দেখা গেছে। বই সংকট শুধু শিক্ষার গতিকে থামিয়ে দিচ্ছে না বরং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিচ্ছে বলে একাধিক অভিভাবকরা জানিয়েছেন।
বিভিন্ন ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নতুন বই না পাওয়ায় প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা মাদরাসামুখী হচ্ছেন না। অধিকাংশ মাদরাসায় একটি বা দু’টি করে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। সেখানেও তেমন উপস্থিতি নেই। বই না থাকায় ক্লাসে মনোযোগী হচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে পুরোনো বই দিয়ে দু-একটি ক্লাস টেনেটুনে করানো হচ্ছে। তবে ক্লাসে উপস্থিতি একেবারে কম। যারা আসে তারাও মনোযোগ দিয়ে ক্লাস করতে চায় না।
এদিকে, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও সব বই শতভাগ আসেনি। সংশ্লিষ্টরা জানান, উপজেলার সরকারি প্রাথমিক ও কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোতে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত সব বই দেওয়া হয়েছে। তবে অনেক প্রতিষ্ঠান প্রধানরা জানিয়েছেন তারা চাহিদা অনুযায়ী বই পাননি।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, শ্রীমঙ্গল উপজেলায় প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির সব বই ইতোমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। তবে চতুর্থ শ্রেণির দুটি বই এসেছে এবং প্রঞ্চম শ্রেণির কোনো বই আসেনি। উপজেলায় চাহিদা অনুযায়ী বই না আসায় সব প্রতিষ্ঠানকে তাদের চাহিদা অনুযায়ী বই দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে পর্যায়ক্রমে তাদের চাহিদা পূরণ করা হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দিলীপ কুমার বর্ধন জানান, বই সংকট চলছে, বই সরবরাহ যা পাচ্ছেন সাথে সাথে স্কুলে ডিস্ট্রিবিউশন করছেন। শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইসলাম উদ্দিন বলেন, শ্রীমঙ্গল উপজেলায় শুধু ইবতেদায়ি ছাড়া প্রাথমিক, মাধ্যমিকসহ উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইতোমধ্যে বই পৌঁছানো হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণও করা হয়েছে। তবে অন্য বছরগুলোর তুলনায় এ বছরের পরিস্থিতি ভিন্ন। দ্রুত গতিতে বই ছাপা ও সরবরাহ করার কাজ চলছে। সরকার এক্ষেত্রে খুব আন্তরিক। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যেই অবশিষ্ট বইগুলো পেয়ে যাবে শিক্ষার্থীরা।