ওসমানী হাসপাতালে দুদকের অভিযান
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৯:৪৮:১০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার দুপুর ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত দুদক সিলেট কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রাফী মো. নাজমুস সাদাতের নেতৃত্বে তাদের একটি দল এই অভিযান চালায়। অভিযানে হাসপাতালের ১৬ নার্সিং স্টাফ এর বিরুদ্ধে কর্মস্থলে উপস্থিত না থেকে বেতন তোলার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে দুদক।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন তারা। সংশ্লিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে নথিপত্র যাচাই-বাছাই করে অনুসন্ধান দলটি। এই ঘটনায়, সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
উপ-পরিচালক রাফী মো. নাজমুস সাদাত অভিযান শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে জানান সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনুপস্থিত থেকেও ১৬ নার্সের বেতন-ভাতা উত্তোলনের পেছনে একটি সিন্ডিকেট রয়েছে।
তিনি বলেন, অনুপস্থিত থেকেও হাসপাতালের ১৬ নার্স বিভিন্ন সময়ে প্রায় ২০ লাখ টাকা বেতন উত্তোলন করেছেন। কয়েক বছর ধরে এইভাবে সুযোগ নিয়েছেন তারা। তাদের ছুটি নেওয়ার কোনো অনুমতি ছিল না। অনুমতি না নিয়ে অনুপস্থিত থেকেও তারা বেতন-ভাতা তুলেছেন।দুদক কর্মকর্তা বলেন, এ বিষয়ে যারা সংশ্লিষ্ট, অর্থাৎ নার্সিং সুপারভাইজার অনুপস্থিতির রিপোর্ট করেছেন। হিসাব শাখায় তাদের অনুপস্থিত থাকার রিপোর্ট পাঠানো হলেও বেতন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এখানে একটা সিন্ডিকেট ছিল। পুরো সিন্ডিকেটই কাজ করেছে।
দুদকের উপ-পরিচালক আরও বলেন, ২০২১ সাল থেকে এ ধরনের কার্যক্রম চলে আসছিল। কিন্তু বিষয়টি কারো নজরে ছিল না। যারা হিসাব শাখা থেকে বেতন পাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন তারাও এই সুযোগটা কাজে লাগিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে এর সত্যতা পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে আরও তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযুক্তদের মধ্যে হাসপাতালের হিসাব শাখার একজন কর্মকর্তার স্ত্রীর জড়িত থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, যেহেতু অভিযুক্ত নার্সদের বেতন হিসাব শাখা থেকে ফরওয়ার্ড করা হয়েছে, সেহেতু হিসাব শাখার ওই কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। তবে বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখা হবে। এ বিষয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. ওমর রাশেদ মুনীর বলেন, দুদকের একটি দল এসেছে। তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছি আমরা।