যারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আত্মত্যাগ করেছেন তাঁরাই সত্যিকারের সাংবাদিক : মুহাম্মদ আবদুল্লাহ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৭:৪৮:৪৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট সাংবাদিক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেছেন, সাংবাদিকবৃন্দ জাতি ও রাষ্ট্রের কল্যাণে কাজ করেন। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানসহ সকল প্রতিকূল সময়ে তাঁরা বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন।
প্রতিকুল সময়ে যদি সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় তাহলে সময়ে সুফল পাওয়া যায় উল্লেখ করে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, গত ১৫ বছরে সকল গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। অনেক সাংবাদিক ফ্যাসিবাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে। এসবের মধ্যেই যারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আত্মত্যাগ করেছেন তাঁরাই সত্যিকারের সাংবাদিক।
বৃহস্পতিবার সিলেট সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে অসুস্থ ও অসচ্ছল ৯ সাংবাদিককে অনুদান এবং ৬ সাংবাদিক সন্তানকে বৃত্তির চেক বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আঞ্চলিক তথ্য অফিসের তথ্য অফিসার মো. আকিকুর রেজা, সিলেট মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহম্মদ বদরুদ্দোজা বদর। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিলেট মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খালেদ আহমদ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দৈনিক জালালাবাদ সম্পাদক মুকতাবিস-উন-নূর, দৈনিক সিলেটের ডাকের প্রধান বার্তা সম্পাদক এনামুল হক জুবের, দৈনিক ইত্তেফাকের ব্যুরো চীফ হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী, দৈনিক নয়াদিগন্তের ব্যুরো চীফ আবদুল কাদের তাপাদার, বাংলাদেশ বেতার সিলেট মহানগর সংবাদদাতা মো. আমজাদ হোসাইন, সিলেট প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি সিরাজুল ইসলাম ও বাসস সিলেট ব্যুরো প্রধান সেলিম আউয়াল প্রমুখ।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের সম্মতির কারণেই সাংবাদিক সন্তানদের বৃত্তি প্রদান সম্ভব হয়েছে মন্তব্য করে মুহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, সাংবাদিক সন্তানদের বৃত্তি প্রদান অন্তর্বর্তী সরকারের যুগান্তকারী উদ্যোগ। এর ফলে সাংবাদিকদের পরিবারের ওপর অর্থনৈতিক চাপ কমবে। তিনি জানান, প্রবীণ সাংবাদিকদের অবসরকালীন মাসিক ভাতার আওতায় আনার বিষয়টিও সরকারের বিবেচনায় রয়েছে।
মতবিনিময় সভায় সিলেট বিভাগের সাংবাদিকদের ন্যূনতম মজুরি ব্যবস্থা, মফস্বলেও ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন, ভূইফোঁড় সাংবাদিক নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন দাবির সাথে একমত পোষণ করে মুহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সামর্থ্য বাড়ার সাথে সাথে পর্যাক্রমে সকল দাবি বাস্তবায়ন করা হবে। সাংবাদিকদের জন্য নামমাত্র মূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, ট্রাস্টের ভবন ও ঢাকার বাইরের সাংবাদিকদের থাকার জন্য ডরমেটরি নির্মাণের বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।