কুয়েতে বৈধ ভিসায় গিয়ে অবৈধ হয়ে ফিরছেন প্রবাসীরা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৯:৩৬:৪৪ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: ২০২৪ সালে কুয়েতের অনেক অঞ্চলে অভিযানে ভিন্ন ভিন্ন অপরাধে বিভিন্ন দেশে ৩৫ হাজার প্রবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে দেশটির প্রশাসন। জানা গেছে, ভিসার ধরণ ও স্থানীয় আইন সম্পর্কে ধারণা না থাকায় বৈধ ভিসায় গিয়ে কাজ না পেয়ে অবৈধ হয়ে দেশে ফিরছেন প্রবাসীরা। এছাড়া গ্রেপ্তাররা দেশটিতে পুনরায় ভিসা নিয়ে প্রবেশ করা যোগ্যতাও হারাচ্ছেন।
বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে বাংলাদেশ থেকে শিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত বেকার যুবকেরা ‘ব্যক্তিগত কাফিল’ গৃহকর্মী ২০ নম্বর ভিসা বা ‘ছোট কোম্পানী’ ১৮ নাম্বার ভিসা এর অধীনে ৭ লাখ থেকে ৯ লাখ টাকার বিনিময়ে যাচ্ছেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মধ্যস্বত্বভোগী/দালালের মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে বিভ্রান্ত হয়ে একক ভিসায় বাংলাদেশী কর্মী কুয়েতে আগমনের কিছু দিন পরেই মালিক(কাফিল) উক্ত বাংলাদেশী কর্মীর(ভিসা) ইকামা বসবাসের অনুমতি বাতিল করে তার স্থলে অন্য ব্যক্তিকে নিয়োগ দিচ্ছে।
মালিক কাজ না দিয়ে ভিসা লাগিয়ে ছেড়ে দিচ্ছে। এক কর্মী অন্য মালিকের কাজ করতে গিয়ে অভিযানে আবাসন আইন লঙ্ঘনের দায় সর্তকবার্তা জরিমানা অথবা ৬ মাসের মধ্যে দেশটি ত্যাগের হলুদ পেপার দেওয়া হচ্ছে। নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে না গেলে কালো তালিকাভুক্ত করা হয় তাদের। ফলে উক্ত বাংলাদেশি কর্মী কুয়েতে অবৈধ হয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের অভিযানে গ্রেপ্তার হয়ে বাংলাদেশ ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এর জন্য এক দিকে কুয়েতে যেমন বাংলাদেশীদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে অন্য দিকে ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশি কর্মী আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। এদিকে বাংলাদেশি কর্মীদের স্বার্থ রক্ষার্থে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুধুমাত্র মালিক দ্বারা জমাকৃত একক ভিসা সত্যায়নের আবেদন দূতাবাসে গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাস।