ট্রাম্পের ‘গাজা দখলের’ পরিকল্পনায় জাতিসংঘের কড়া প্রতিক্রিয়া
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৯:৩৮:১৩ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গাজায় জাতিগত নিধন এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আইন রক্ষা করা এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটের দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান নিশ্চিত করা জরুরি। মঙ্গলবার ট্রাম্প এক ঘোষণায় বলেন, গাজার ফিলিস্তিনিদের অন্য দেশে পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উপত্যকাটি দখল করতে পারে। এই মন্তব্য বিশ্বজুড়ে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।
এরপর বুধবার জাতিসংঘের এক বৈঠকে গুতেরেস বলেন, “সমাধান খুঁজতে গিয়ে সমস্যাকে আরও জটিল করা যাবে না। যেকোনো ধরনের জাতিগত নিধন এড়িয়ে চলা জরুরি।” জাতিসংঘ দীর্ঘদিন ধরে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানকে সমর্থন করে আসছে, যেখানে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে পাশাপাশি বসবাস করবে।
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের দূত রিয়াদ মনসুর বলেন, “গাজা আমাদের ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমরা গাজা ছাড়ব না। কোনো শক্তিই আমাদের পূর্বপুরুষের ভূমি থেকে উচ্ছেদ করতে পারবে না।” তিনি বিশ্ববাসীর কাছে গাজার পুনর্নির্মাণে সহায়তা করার আহ্বান জানান। জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, “টেকসই শান্তির জন্য প্রয়োজন দখলদারির অবসান এবং একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।” মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতার একমাত্র সমাধান হলো, “ইসরায়েলের পাশাপাশি শান্তি ও নিরাপত্তার সঙ্গে বসবাসকারী কার্যকর ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র।”
১৯৬৭ সালে ইসরায়েল গাজা, পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম দখল করে। ২০০৫ সালে তারা গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করলেও, সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েল ও মিসরের হাতে রয়ে গেছে। ২০০৭ সালে হামাস গাজার শাসনক্ষমতা গ্রহণ করে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্পের প্রস্তাব মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে এবং শান্তি প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলতে পারে।