শান্তিগঞ্জে হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবি
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৯:৪৪:১৮ অপরাহ্ন
শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি : শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের বীরগাঁও ইমদাদুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজ মিয়ার অপসারণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের সচেতন নাগরিকবৃন্দ।
শনিবার সকালে বীরগাঁও গ্রামের মাছুম আহমেদের বাড়িতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা দাবি করেন, গ্রামের সচেতন নাগরিক সমাজের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতোমধ্যে বীরগাঁও ইমদাদুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজ মিয়ার সকল দুর্নীতি প্রমাণিত হয়েছে। শান্তিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন কতৃক তদন্ত প্রতিবেদনেও দুর্নীতির সত্যতা উঠে এসেছে। সুতরাং দুর্নীতিবাজ একজন মানুষ অন্তত আর যা-ই হোক শিক্ষকতার মতো মহান পেশায় থাকতে পারেননা। প্রশাসনের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, দয়া করে দুর্নীতিবাজ এই শিক্ষককে দ্রুত অপসারণ করুন। না হলে, অপসারণের এই দাবি আইনি সকল প্রক্রিয়া মেনে মাঠ পর্যন্তও গড়াতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কবি আজমল আহমদ। অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন- সমাজকর্মী সলিব নূর বাচ্চু, মাছুম আহমদ জোসেফ ও শিক্ষক মিজানুর রহমান মিজান। এসময় উপস্থিত ছিলেন-সমাজকর্মী সুয়েব আহমদ, সিপাউর রহমান, কাউছার আহমেদ ভুট্টো ও রায়েজ নূর প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর পূর্ব বীরগাঁওবাসী আজিজ মিয়ার দুর্নীতির বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে আবেদন করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইউএনও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। গত ৩০ ডিসেম্বর কমিটির প্রকাশিত তদন্ত প্রতিবেদনে আনিত অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হয়। সংযুক্তিকৃত ৮৭ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে এর সকল প্রমাণাদি রয়েছে। সকল দুর্নীতির প্রমাণ সাপেক্ষ আজিজ মিয়া প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সকল যোগ্যতা হারিয়েছেন বলে আমরা মনে করি।
বীরগাঁও ইমদাদুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজ মিয়া বলেন, যেসব বিষয়ে তারা অভিযোগ করেছেন তা এখনো তদন্তাধীন। চূড়ান্ত কোনো প্রতিবেদন এখনো আসেনি। যদি আমি দোষী প্রমাণিত হই তাহলে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবো। তাছাড়া, এসব বিষয়ে আমার যতটুকু অধিকার আছে ততটুকু আইনী পদক্ষেপেও যাবো।