ব্যাংক ডাকাতিতে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে: প্রেস সচিব
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৯:২৬:৪০ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, যারা যারা ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন। রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমির মিলনায়তনে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, ব্যাংক খাতের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিটিংয়ে প্রফেসর ইউনূস বলেছেন, যারা যারা ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে জড়িত, যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে, তাদের খুব দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। যারা এ কাজ করেছেন তারা মূলত বাংলাদেশের মানুষের টাকা মেরে দিয়েছেন। তাদের যে করে হোক আইনের আওতায় আনতে হবে। দুটি ব্যাংক উন্নতি করছে। পাবলিক সেক্টর ব্যাংকে আরো কীভাবে উন্নতি হয় সেগুলো নিয়েও কাজ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের একটা টিম বাংলাদেশে এসে ঘুরে গেছে। এখন সুইজারল্যান্ডের একটা টিম বাংলাদেশের এসেছে। আমরা ইউএসের সঙ্গে কথা বলছি, আমরা কানাডার সঙ্গে কথা বলছি। বাংলাদেশ থেকে যে টাকাটা চলে গেছে যে করে হোক, সেটা কীভাবে বাংলাদেশে ফেরানো যায়, সে বিষয়ে বিশদ বর্ণনা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর।
প্রেস সচিব বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দ্রুত উন্নতি হবে। সব বাহিনীর সমন্বয়ে ‘সেন্ট্রাল কম্যান্ড সেন্টার’ কাজ শুরু হয়েছে। এর ফলে খুব দ্রুত আইন-শৃঙ্খলা উন্নতি হবে। এটা সমন্বয় করবে হোম মিনিস্ট্রি। এখানে প্রত্যেকটা বাহিনীর প্রতিনিধি থাকবেন। কন্টিনিউয়াসলি এটা মনিটরিং হবে। মাত্র শুরু হলো, যখন পুরোপুরি শুরু করব তখন আপনারাই সেখানে গিয়ে জানতে পারবেন যে তারা কি কি কাজ করছে।
খাদ্য শস্যের দাম কমবে প্রত্যাশা করে শফিকুল আলম বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে খাদ্য শস্যের দাম কমছে। এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়বে। ৫ মাসে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ১০ শতাংশ উন্নতি হয়েছে অর্থনীতির। আগামী জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে বলে আশা করি। রমজান মাসে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়বে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোরিয়ান ইপিজেড নির্মাণের জন্য জমি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন করা হয়েছে। তাদের হাতে জমির কাগজপত্র তুলে দওিয়া হয়েছে। এর ফলে কোরিয়ান ব্যাপক বিনিয়োগ আসবে দেশে। পতিত সরকার কোরিয়ান ইপিজেডের জমি দখল করার পাঁয়তারা করছিল বলে বাংলাদেশের পরিবর্তে ভিয়েতনামে তাদের প্রচুর বিনিয়োগ চলে যায়। এখন সব সংকট সমাধান হয়েছে।
ইউসিবি এবং ইসলামী ব্যাংক যথেষ্ট ভালো করছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, দশটা ব্যাংকের দুর্বলতা চিহ্নিত হয়েছিল। এই ব্যাংকগুলো যাতে তাদের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারে সেজন্য সরকার বিভিন্ন ধরনের সহায়তা দিয়ে আসছে। ব্যাংকগুলো ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। ইউসিবি এবং ইসলামী ব্যাংক যথেষ্ট ভালো করছে। তাদের যে সমস্যাগুলো আছে সেগুলো তারা কাটিয়ে উঠে, আবার পুনরায় তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রমের দিকে আস্তে আস্তে এগিয়ে যাচ্ছে।