আদালতসহ বিভিন্ন জায়গায় স্বৈরাচারের দোসররা এখনো বহাল : সিলেট বিএনপি
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০৪:৪৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি। এতে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলেন দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। সোমবার বিকেলে নগরীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী।
জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কয়েস লোদী বলেন, আমরা হতবাক হয়ে দেখেছি গত ২৯ জানুয়ারি সিলেটের একটি আদালত থেকে একাধিক মামলায় জামিন নিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক কাউন্সিলর রেজওয়ান ও তার ভাই কামরান। আইনজীবীদের সাথে আলাপ করে আমরা জানতে পারি যে, উক্ত আদালতের জামিন দেয়ার কোন এখতিয়ার ছিলনা। তা সত্ত্বেও একই আদালত থেকে ৫টি মামলায় জামিন দেওয়া হয়েছে। এতে স্পষ্টত বোঝা যায় পতিত স্বৈরাচারের দোসররা এখনো সিলেটের আদালতসহ বিভিন্ন জায়গায় বহাল তবিয়তে আছে।
তিনি বলেন, সকল স্তরে ঘাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিজমের দোসরদের প্রতি আমাদের দৃষ্টি রয়েছে। তারা যদি ভবিষ্যতে আইন অঙ্গন ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে কোনো অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের চেষ্টা করে তাহলে জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা তা প্রতিহত করবো। আমরা অবাক বিস্ময়ে দেখেছি এদেশের মানুষের ওপর জুলুমকারী পতিত স্বৈরাচারের দোসররা কিভাবে একদিনেই সবকটি মামলায় জামিন পেয়েছে। আদালতে স্বৈরাচারের দোসরদের প্রত্যক্ষ মদদ ছাড়া যা কোনভাবেই সম্ভব ছিল না। আদালতের বিচারকরা তাদের মনগড়া জামিন দিচ্ছেন, যা হতাশাজনক। এছাড়াও সিলেটের বিভিন্ন প্রশাসনিক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্তরা তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে না। যা নিয়ে সিলেটের সচেতন মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আরো বলেন, ইতিমধ্যে সিলেট সহ সারাদেশে গত শনিবার রাত থেকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা শুরু করেছে যৌথ বাহিনী। ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামে এই অভিযান শুরু করায় অর্ন্তর্বতীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আপনারা দেখেছেন গত ৪ আগস্ট সিলেটের বিভিন্নস্থানে প্রকাশে অগ্নি অস্ত্রে মহড়া দিয়েছে ফ্যাসিস আওয়ামী লীগের সস্ত্রাসীরা। সকল সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার না করা হলে সিলেটের মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরবে না। আমরা দাবী করছি অবিলম্বে এই সকল সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসুন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়- আপনারা লক্ষ্যে করেছেন দেশে বিভিন্ন স্থানে নেয়া সিলেটের বিভিন্নস্থানে ভাংচুর করা হয়েছে। সেই সকল ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে বিএনপি তাদের অবস্থান পরিস্কার করেছে। যার সাথে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের কোন সম্পৃক্ততা নেই। ঠিক সেইভাবে আমরাও পরিস্কার করছি সিলেটের ভাংচুরের কোনো ঘটনার সাথে বিএনপি ও তার অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমরা দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কাজের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যে ১০জনকে বহিস্কার করেছি। যদি দলের কোনো পর্যায়ের নেতাকর্মীদের দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কাজের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে সাথে সাথে দল সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে প্রায়োজনে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদের পরিচালনায় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর- বিএনপির সহ সভাপতি ডাঃ নাজমুল ইসলাম, ডাঃ আশরাফ আলী, রহিম মল্লিক, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, আনোয়ার হোসেন মানিক, মামুনুর রশীদ মামুন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহিদ সুহেল, নাদির খান, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সাফেক মাহবুব,রফিকুল ইসলাম রফিক, জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট সাঈদ আহমদ, মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক তারেক আহমদ খান, জেলা বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট বদরুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সাঈদুর রহমান হিরু, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান মোহন, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল ইসলাম খায়ের, জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অর্জুন ঘোষ, আহাদ চৌধুরী শামীম, মহানগর বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ রহিম আলী রাসু, শফিক নূর, জেলা বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক মাহবুব আলম, মহানগর বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক আব্দুল মালেক, জেলা বিএনপির সহ ক্রীড়া সম্পাদক সুমেল আহমদ চৌধুরী, জেলা বিএনপির সহ মানবাধিকার সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সদস্য আব্দুল মুনিম, মোঃ হারুনুর রশিদ, জাকির হোসেন পারভেজ, জেলা উলামা দলের আহবায়ক মাওলানা নুরুল ইসলাম প্রমুখ।