শান্তিগঞ্জে গরুর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ৪০
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৫:৪৬:৫০ অপরাহ্ন
শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি : শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নে গরুর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে আস্তমা ও কামরুপদলং গ্রামের মধ্যে দুই ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন।
রোববার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত আস্তমা গ্রামের উত্তরে ও কামরুপদলং মাদ্রাসার পূর্বে পশ্চিম বন্দে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। ঘটনায় আস্তমা গ্রামের পক্ষে গুরুতর আহত দু’জনকে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কামরুপদলং গ্রামের গুরুতর আহত তিনজনকে পাঠানো হয়েছে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে। অন্যান্য আহতরা শান্তিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আস্তমা গ্রামের পক্ষের আহতরা হলেন, আক্তার হোসেন (৩০), দুলাল মিয়া (২০), জুয়েল মিয়া (৩০), শামসুজ্জামান (২৮), নাছির আলী (৫০), আবদুল জলিল (৩০), খাইরুল আমীন (২৬), এমরান হোসেন (২৮), সাদিক মিয়া (৪৫), নুরুজ্জামান (৩৫) ও সৌরভ হোসেন (২৬)। এছাড়াও এ গ্রামের পক্ষে আরো ১০/১৫ জন লোক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে তাৎক্ষণিক তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। আক্তার হোসেন ও দুলাল মিয়া গুরুতর আহত হওয়ায় তাদেরকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, কামরুপদলং গ্রামের পক্ষের আহতরা হলেন, বাতির আলী (৫৬), সুন্দর আলী (৭০), সুজন মিয়া (৩৫), কালাই মিয়া (২৭), মতিউর রহমান (৩২), শওকত আলী (২৭), নবী হোসেন (২২) ও শাফি আহমেদ (২৫)। তাদের পক্ষের আহত আরও ৭/৮ জনের নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। গুরুতর আহত বাতির আলী, সুন্দর আলী ও সুজন মিয়াকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, শনিবার বিকালে আস্তমা গ্রামের আলগা বাড়ির (আলাদা বাড়ি) কৃষক বজলু মিয়ার গরু কামরুপদলং গ্রামের কৃষক সুরুজ মিয়ার জমির ধান খায়। এ নিয়ে জমিতেই দুই কৃষকের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও মারামারি হয়। পরে এই ঘটনায় দুই গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এ রোববার সকালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকরাম আলী বলেন, সংঘর্ষের খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় কোনো আটক বা গ্রেফতার নেই। যদি কোনো পক্ষ মামলা করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।