অটোচালক খুনে দেবর-ভাবি গ্রেফতার
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৭:০৩:০৯ অপরাহ্ন
বড়লেখা প্রতিনিধি: বড়লেখায় স্ত্রীর পরকিয়ার বলি হয়েছেন সিএনজি অটোরিকশা চালক উজ্জল বিশ্বাস (৩০)। রোববার রাতে স্ত্রী দীপনা বিশ্বাস (১৯) ও ছোটভাই ঝন্টু লাল বিশ্বাস (২৫) ঘুমন্ত অবস্থায় গলায় মাফলার পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে তাকে হত্যা করেছে। নিহত উজ্জল বিশ্বাস উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের সুবোধ বিশ্বাসের ছেলে। সোমবার সকালে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ এবং স্বামী হত্যার দায়ে দেবর-সহ স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে।
এই ঘটনার খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) কামরুল হাসান ও ওসি মো. আব্দুল কাইয়ুম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।জানা গেছে, উজ্জল বিশ্বাসের স্ত্রী দীপনা রাণী বিশ্বাসের সঙ্গে তার ছোটভাই জন্টু বিশ্বাসের পরকিয়া চলছিল। সম্প্রতি বিষয়টি জেনে ফেলেন তার স্বামী উজ্জল বিশ্বাস। এনিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ ও মনোমালিন্য চলছিল। একপর্যায়ে স্বামীকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে স্ত্রী দীপনা বিশ্বাস ও ছোটভাই জন্টু লাল বিশ্বাস।
পরিকল্পনা অনুযায়ী দেবর-ভাবি মিলে রোববার রাত দুইটা থেকে তিনটার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় উজ্জল বিশ্বাসের গলায় মাফলার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ বাড়ির পাশে রাস্তার কিনারে ফেলে দেয়। রাতেই দীপনা ও ঝন্টু স্বজনদের সাথে উজ্জল বিশ্বাসকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। সকালের দিকে বাড়ির অনতিদূরে রাস্তার পাশে উজ্জলের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্বজনরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানান, অনেক আগেই তার মৃত্যু ঘটেছে। এরপর তাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে সোমবার সকাল দশটার দিকে ঘটনাস্থলে যায় থানা পুলিশ। সুরতহালে গলায় আঘাতের চিহ্ন পায় পুলিশ। এরপর স্ত্রী ও ছোটভাইয়ের সন্দেহজনক আচরণে পুলিশ তাদের আটক ও লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
বড়লেখা থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। সন্দেহ হওয়ায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দিক নির্দেশনায় পুলিশ দীপনা ও ঝন্টু বিশ্বাসকে আটক করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা উজ্জল বিশ্বাসকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। এ ব্যাপারে নিহত উজ্জলের বাবা সুবোধ বিশ্বাস থানায় হত্যা মামলা করেছেন।