মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশীসহ ৪৬ অভিবাসী গ্রেফতার
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৭:০১:১২ অপরাহ্ন
মালয়েশিয়া প্রতিনিধি: মালয়েশিয়ায় বিদেশীদের দ্বারা পরিচালিত অনলাইনে জালিয়াতি ও প্রতারক চক্রের ৪৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ৪৬ জনই অভিবাসী। এর মধ্যে বাংলাদেশিও রয়েছে। তবে এ সংখ্যায় কতজন বাংলাদেশী গ্রেফতার হয়েছে তা জানা যায়নি।
মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট বুধবার কুয়ালালামপুরের কুচাই লামার ১৭টি বিলাসবহুল আবাসিক প্রাঙ্গণে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন দেশের ৪৬ জনকে গ্রেফতার করার পর বিদেশীদের দ্বারা পরিচালিত একটি অনলাইন জালিয়াতি ও প্রতারক চক্রের মুখোশ উন্মোচন করে ডিপার্টমেন্ট।
বৃহস্পতিবার জেআইএম-এর উপ-মহাপরিচালক (অপারেশনস) জাফরি এমবক তাহা বলেন, বুধবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে অভিযানে চীন, ইন্দোনেশিয়া, মায়ানমার, বাংলাদেশ, লাওস এবং থাইল্যান্ডের নগরিককে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত অভিবাসীদের বয়স ২৩ থেকে ৫৪ বছরের মধ্যে।
ইমিগ্রেশন বলছে, প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে পরিচালিত জনসাধারণের এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে দেখা গেছে, একটি সিন্ডিকেট কর্তৃক স্থানটি ভাড়া করা হয়েছিল কল সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করার জন্য। এই কল সেন্টারের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের সোনা, সম্পত্তি, বিলাসবহুল জাহাজ, স্টক বিনিয়োগ এবং বিদেশী মুদ্রা কেনার প্রস্তাব দিয়ে প্রতারণা করা হত। তারা কেবল স্থানীয়দেরই লক্ষ্য করছে না বরং বিদেশের, বিশেষ করে তাদের নিজস্ব দেশ থেকে আসা গ্রাহক বা ভুক্তভোগীদের কাছেও পৌঁছাচ্ছে।
জাফরি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় তিন মাস ধরে এই সিন্ডিকেটটি কাজ করছে। তারা ফেসবুক, টিকটক, উইচ্যাট, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম এবং অন্যান্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ভুক্তভোগীদের খুঁজে বের করে। তিনি বলেন, সিন্ডিকেটটি একটি ফোন নম্বরের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের সাথে যোগাযোগ করবে এবং ভুক্তভোগীরা যখন আগ্রহ দেখাতে শুরু করবে, তখন তাদের প্রশাসকের সাথে সংযুক্ত একটি লিঙ্ক পাঠিয়ে সিন্ডিকেট সদস্যদের দেওয়া অ্যাকাউন্টে কিছু টাকা স্থানান্তর করতে বলা হবে।
জাফরি বলেন, অভিযানের সময় তার দল দুটি সার্ভার র্যাক, চারটি ল্যাপটপ, ৮৮টি মোবাইল ফোন, তিনটি রাউটার, চারটি মডেম, ২৬টি সিম কার্ড এবং নগদ ১ লাখ রিঙ্গিতসহ বেশ কয়েকটি সরঞ্জাম জব্দ করেছে।