ঋতু বদলের জ্বরজারি
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৯:৩৪:৫০ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট : শীত শেষে এখন বসন্তের মাতাল হাওয়া বইছে। শহর ছাড়লে মৃদুমন্দ বাতাসে হালকা শীতের আমেজ পাওয়া যাচ্ছে। আর আবহাওয়ার এই পরিবর্তনে সিলেটসহ বিভিন্ন অঞ্চলে জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে। একসঙ্গে পরিবারের একাধিক সদস্যও জ্বর-সর্দি-কাশিতে ভুগছেন। তিন থেকে সাত দিন জ্বর-সর্দি-কাশির তীব্রতা থাকছে। জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে শিশু ও বয়স্কের সংখ্যা বেশি।
বিভিন্ন হাসপাতালের তথ্য বলছে, বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগে রোগী বেড়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ। এ ছাড়া চিকিৎসকদের চেম্বার ও রোগ নির্ণয় কেন্দ্রগুলোতে জ্বর নিয়ে আসা রোগীর ভিড় বেড়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে ভর্তির প্রয়োজন হচ্ছে ৫ শতাংশের। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরছে।
এসব রোগীর মধ্যে শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, হাঁপানি, নিউমোনিয়া, ব্রংকিওলাইটিস, ডায়রিয়া, সর্দি-জ্বরের রোগী বেশি পাওয়া যাচ্ছে। পরীক্ষায় ২-৩ শতাংশ করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অসুস্থ হওয়ার অন্যতম উপসর্গ জ্বর। সাধারণ জ্বর হলে দু-তিন দিনের মধ্যে এমনি সেরে যায়। জ্বর তিন দিনের বেশি থাকলে চিকিৎসাসেবা নেওয়াটা বাঞ্ছনীয়।
বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ঋতু বদলের কারণে বছরে দুইবার অসুখ বেশি হয়। শীতের শুরুতে ও শীতের শেষে। বিশেষ করে বয়স্ক, শিশু ও দীর্ঘদিন ধরে পুরনো রোগে ভোগা ব্যক্তিদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। এ সময় তাদের ভাইরাস জ্বর, ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক সংক্রমণের কারণে ফুসফুসের নানা রোগ হয়ে থাকে।
তারা বলেন, বাতাসে আর্দ্রতা কমে শুষ্কতার কারণে ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু শ্বাসনালি ও ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটাচ্ছে। এ জন্য রোগীকে বেশি করে পানি পান করাতে হবে এবং পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি যারা, বিশেষ করে যাদের শ্বাসতন্ত্রের রোগ আছে, হার্ট বা কিডনির রোগে ভুগছে, তাদের ইনফ্লুয়েঞ্জা ও নিউমোনিয়া প্রতিষেধক টিকা নিতে হবে। জ্বর হলে কোনো অবস্থায় অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া যাবে না।