বাহুবলে জামায়াত নেত্রীর দাফন সম্পন্ন
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬:২৮:৫৯ অপরাহ্ন
জড়িতদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ

বোনের কোলে অবুঝ সুমাইয়া।
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলা মহিলা জামায়াতের সভাপতি মিনারা বেগম (৩৫) কে হত্যার ৪৮ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ বিষয়ে পুলিশ জানিয়েছে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করতে তাদের কয়েকটি টিম মাঠে কাজ করছে। নিহত নারী নেত্রী উপজেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুল আহাদের স্ত্রী। তিনি মিরপুর পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক। তারা স্বামী স্ত্রী উভয়ই জামায়াতের রোকন ছিলেন।
ঘটনার পরদিন শনিবার বিকেল ৩টায় ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ বাড়িতে এসে পৌঁছলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। নিহতের অবুঝ শিশু তার মায়ের লাশের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে ছিল, বার বার মুর্চ্ছা যাচ্ছিল নিহতের বড় মেয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া। বিকেল ৪ টায় জানাজার নামাজে জামায়াত ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করতে পুলিশকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন, অন্যথায় মহাসড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহন করবেন বলে হুঁশিয়ারী দেন। পরে বিকেল ৫টায় নিহতের জন্মস্থান ফদ্রখলায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
এদিকে, মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারসহ বিচারের দাবীতে মিরপুরে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনের ডাক দিয়েছেন। বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, এজাহার পেয়েছি, ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্ত করতে আমাদের টিম কাজ করছে। আশা করছি দ্রুতই শনাক্ত করতে পারব। বাহুবল উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী হাবিবুর রহমান বলেন, পুলিশ আসামী গ্রেফতার করতে পারছেনা, এসপির বক্তব্য আমাদের হতাশ করেছে। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করতে জানাজার নামাজ থেকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার পশ্চিম জয়পুর গ্রামের নিজ ঘরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পরে পেটে ডেগার স্টেপ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্ত। নিহতের স্বামী ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৭টায় বাড়িতে এসে দেখতে পান তার স্ত্রী খাটের উপর পড়ে রয়েছে, তার ৭ মাসের শিশু সন্তান খাটের নিচে পড়ে আছে। বড় মেয়ে সুমাইয়া বাড়িতে ছিল না।