জাতিকে ধ্বংসের চক্রান্ত করেছেন হাসিনা: মির্জা ফখরুল
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৯:১৬:১৬ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘কিছু দিন আগে চোখে পড়লো, ফ্যাসিস্ট হাসিনা কান্না করতে করতে বলছে, ‘আমার বাবার বাড়িটা ৩২ নম্বরে আমরা দিয়েছিলাম, জাদুঘর করেছিলাম, সেটাকে পর্যন্ত ধুলায় মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। কী অপরাধ আমার। ‘অপরাধ? আপনি এটাই তো বুঝতে পারছেন না হাসিনা আপনার কী অপরাধ? আপনি একটা জাতিকে ধ্বংসের চক্রান্ত করেছেন। আপনি একটা জাতির অধিকারকে ধ্বংস করেছেন। আপনি দেশকে বিক্রি করে দিয়েছেন।’
ধামরাইয়ের যাত্রাবাড়ী মাঠে সোমবার বিকেলে ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।ফখরুল বলেন, ‘আপনার (শেখ হাসিনার) ভাগ্য ভালো যে বা যারাই হোক, হেলিকপ্টারে পাঁচার করে দিয়েছে। তা না হলে আপনাকে খুঁজে পাওয়া যেত না।’তিনি বলেন, ‘সেদিন সামরিক বাহিনী খুব ভালো ভূমিকা পালন করেছে। তারা পরিষ্কার করে হাসিনাকে বলে দিয়েছিল, আপনার কাছে দুটা অপশন আছে, দুইটা বিকল্প আছে। একটা হলো, জান নিয়ে কেটে পড়েন, তা নাহলে এই গণভবনে পাবলিক আপনাকে কী করবে, তা আমরা বলতে পারব না। সেদিন লাখ লাখ মানুষ যখন চতুর্দিক থেকে সেই গণভবনে ছুটে গিয়েছিল, তখন কিন্তু হাসিনা পালিয়ে তার জীবন রক্ষা করেছে। তিনি দলের দিকে তাকাননি, নেতা-কর্মীদের দিকে তাকাননি, দেশের দিকে তাকায় নাই। এই নেতার ওপরে কী মানুষের আস্থা থাকতে পারে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, ‘আমরা সরকারের সব বিষয়ে সমর্থন করি না, তাকে আমরা ব্যর্থও হতে দিতে চাই না। আমরা চাই এই সরকারই যেন এই নির্বাচনকে সম্পন্ন করতে পারে। তাকে আমরা ব্যর্থ হতে দিতে চাই না। সহযোগিতা করতে চাই।’
আওয়ামী লীগ সরকার ও শেখ হাসিনার সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘হাসিনা সরকার, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রের সব ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে, সব ইনস্টিটিউশন ধ্বংস করেছে, সবচেয়ে আগে ধ্বংস করেছে নির্বাচন ব্যবস্থা। ভোট দিতে যেতে পারবে না, ভোট কেন্দ্রেই যেতে দেবে না। ২০১৪ সালে ভোট হয় নাই। ২০১৪ সালে ১৫৪ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করে সরকার ঘোষণা করেছে। ভোট কেন্দ্রগুলোতে কুত্তা ঘুরাঘুরি করেছে। শফিউল আলম প্রধান তখন বলেছিলেন, কুত্তা মার্কা নির্বাচন।’
ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায়ের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইদুল আলম বাবুল, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেনুজীর আহমেদ টিটু, নজরুল ইসলাম আজাদসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।