দেশে ভোটার ১২ কোটি ৩৭ লাখ, এক বছরে বেড়েছে ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ মার্চ ২০২৫, ১২:৩০:২০ অপরাহ্ন
৩০ জুনের মধ্যে নতুন ভোটার তালিকা
জালালাবাদ রিপোর্ট : প্রতিবারের মত এবারও জাতীয় ভোটার দিবসে হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এখন দেশে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪। এরমধ্যে মোট নারী ভোটার ৬ কোটি ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৬৬৬। পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৩৩ লাখ ৬১ হাজার ৬১৫ জন। আর হিজড়া পরিচয়ে ভোটার আছেন ৯৯৪ জন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ২০২৪ সালের ২ মার্চ দেশে মোট ভোটার ছিল ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন। ওই বছর শেষে যোগ হয় আরো ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩৫২ জন। এছাড়া রিভাইজিং অথরিটির যাচাই-বাছাইয়ে যোগ হয় আরো ৪৮ হাজার ৭৬২ জন।
সব মিলিয়ে বর্তমানে ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন; যাদের মধ্যে ৬ কোটি ৩৩ লাখ ৬১ হাজার ৬১৫ জন পুরুষ। নারী ভোটারের সংখ্যা ছয় কোটি তিন লাখ ৬৯ হাজার ৬৬৫ জন। আর হিজড়ার সংখ্যা ৯৯৪। সবমিলিয়ে এক বছরে ভোটার বেড়েছে ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গেল ২০ জানুয়ারি ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হয়। ইতোমধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে ৫০ লাখের বেশি মানুষের তথ্য। নতুনদের যুক্ত করার পাশাপাশি মৃতদের বাদ দিয়ে আগামী জুনের মধ্যে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য চূড়ান্ত ভোটার সংখ্যা নির্ধারিত হবে।
গতকাল ২ মার্চ ছিলো জাতীয় ভোটার দিবস। এদিন হালনাগাদ চূড়ান্ত ভোটার তালিকাও প্রকাশ করা হয়। ২০১৯ সাল থেকে জাতীয় ভোটার দিবস উদযাপিত হয়ে আসছে। এবার সপ্তম বারের মতো জাতীয় ভোটার দিবসের আয়োজন করেছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ জানিয়েছেন, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে নতুন ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।ভোটার দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিইসি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ জন্য সবার সহযোগিতা চান তিনি।
সিইসি বলেন, ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করে, ভোট-সন্ত্রাস করে আপাতদৃষ্টে জেতা যায়। কিন্তু আখেরে দেশের জন্য, দলের জন্যও ভালো হয় না। শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা দুনিয়ায় এ রকম ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়।
মানুষ নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে বলে জানান সিইসি। তিনি বলেন, এ স্বপ্ন বাস্তবায়িত না হলে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের সঙ্গে বেইমানি করা হবে। ভোটকেন্দ্রে ভোট দেওয়া শুধু এখন আর অধিকার নয়, এটা একটা দায়িত্বও বলে জানান তিনি।
নাসির উদ্দীন বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যার যার দৃষ্টিকোণ থেকে বক্তব্য দেবে। এটা ভিন্ন ভিন্ন হবে, এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।
খোলা মাঠে ভোট চান তাহমিদা :
আরেক নির্বাচন কমিশনার তাহমিদা আহমদ স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনের জন্য বদ্ধ ঘরের পরিবর্তে খোলা মাঠে ভোটের আয়োজন করার কথা বলেন। তাহমিদা আহমদ বলেন, ‘ট্রান্সপারেন্ট (স্বচ্ছ) কথাটা আমার খুব মনে ধরেছে। আমিও চাই, আমাদের ভোটটা হোক ট্রান্সপারেন্ট। সেটা কীভাবে ট্রান্সপারেন্ট হবে-যদি আমরা একটা বদ্ধ ঘরে সেই ভোট অনুষ্ঠান করি? তাই আমি চাই, আমাদের নির্বাচনটা হোক খোলা মাঠে। তিনি বলেন, ‘সবাই সহযোগিতা করলে তিনি এই সংস্কার করতে চান, খোলা মাঠে নির্বাচন করতে চান।